ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর বিমান হামলায় জেরুজালেমভিত্তিক আল কুদস সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক জাবের আবু হারদোস এবং তার পরিবারের ছয় সদস্য নিহত হয়েছেন। মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে তাদের বাড়ি ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। সেখানে বোমা হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, সেখানে সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০৬ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। অনেকের পরিবারের সদস্যও নিহত হয়েছেন। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বর্তমানে পুরো জাবালিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির রাফা এলাকায় ওই হামলা চালানো হয়। কুয়েত হাসপাতালের কাছে অবস্থিত ওই আবাসিক ভবনে আশ্রয় নিয়েছিল ওই বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু সেখানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিরাপদ অঞ্চল মনে করে ফিলিস্তিনিরা যেখানে আশ্রয় নিচ্ছে সেগুলোও এখন ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। গাজার একটি ঐতিহাসিক মসজিদেও হামলা চালিয়ে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানকার এক সাংবাদিক সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন।

সেখানে দেখা যাচ্ছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত ওমারি মসজিদে হামলা চালিয়ে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওমারি মসজিদ ফিলিস্তিনের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ। এটি প্রায় ১৪০০ বছরের প্রাচীন মসজিদ। কিন্তু হাজার বছরের পুরনো এ ঐতিহাসিক মসজিদটিও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে রেহায় পায়নি।