বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

হামাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ইসরায়েলি হামলায় নিহত

হামাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ইসরায়েলি হামলায় নিহত

ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় হামাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা সালেহ আল অরৌরি নিহত হয়েছেন। লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাজধানীর দক্ষিণ উপকণ্ঠের দাহিয়েহতে হামাসের কার্যালয়ে মঙ্গলবার রাতে বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটে। ইসরায়েল থেকে ড্রোনের মাধ্যমে ওই হামলা চালানো হয় বলেও জানানো হয়েছে। তিনি পশ্চিম তীরে হামাস বাহিনীর পরিচালিত অপারেশনের প্রধান ছিলেন। সেখানে সালেহ অরৌরিসহ তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে হামাস নেতাকে হত্যা করার বিষয়ে গতকাল পর্যন্ত ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’, কিছুই বলেনি ইসরায়েল। তবে দেশের এক উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তা এই বিস্ফোরণটিকে ‘হামাস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে হামাস বাহিনী এই ঘটনাকে একটি ‘সন্ত্রাসী কাজ’ বলে নিন্দা করেছে। হিজবুল্লাহর তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটি লেবাননের সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ। ইসরায়েল এ ধরনের আক্রমণ করে আঞ্চলিক যুদ্ধের সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব আজমি মিকাতি। সালেহ আল অরৌরি হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেডের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তিনি লেবাননে থাকতেন এবং তার নিজের গ্রুপের সঙ্গে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সংযোগ মাধ্যম হিসেবে কাজ করতেন। গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই গুলি বিনিময় হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত সেই সহিংসতা ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত বরাবর এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার তা ঢুকে পড়ল একেবারে লেবানন সীমানার ভিতরে।

যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি আলোচনা বন্ধ করল হামাস : ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা বন্ধ করার ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। হামাসের পলিটব্যুরোর উপপ্রধান অরৌরিকে হত্যার পরই এ সিদ্ধান্ত জানায় হামাস। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অথবা জিম্মি মুক্তির আলোচনা স্থগিতের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মধ্যস্থতাকারীদের অবহিত করেছে।’

দক্ষিণ গাজার হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা : দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস অঞ্চলে রয়েছে আল-আমাল হাসপাতাল।

ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এই হাসপাতাল চালায়। ডাবিউএইচও প্রধান জানিয়েছেন, মিসাইল হামলায় ওই হাসপাতালে অন্তত পাঁচজন বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একটি পাঁচ দিনের শিশুও আছে। গাজার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পালিয়ে এসে দক্ষিণ গাজায় আশ্রয় নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ওই হাসপাতাল চত্বরেই প্রায় ১৪ হাজার মানুষ শিবির বানিয়ে আছেন।

ডাবিউএইচও-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মিসাইল হামলার পর ওই হাসপাতাল চত্বর থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন শরণার্থীরা। অন্যদিকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ওই হাসপাতাল চত্বরে একটি ট্রেনিং সেন্টার চালাত, সেটিও এদিনের হামলায় সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে।

সর্বশেষ খবর