বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিমানে আগুন : যেভাবে রক্ষা পেলেন যাত্রীরা

বিমানে আগুন : যেভাবে রক্ষা পেলেন যাত্রীরা

জাপানের টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতে গত পরশু দুটি বিমানের সংঘর্ষ হয়। এ সময় যাত্রীবাহী বিমানটিতে ৩৭৯ জন আরোহী ছিলেন। জাপান এয়ারলাইনসের এয়ারবাস এ৩৫০ বিমানে আরোহীদের মধ্যে আটজন ছিল শিশু। তবে তাদের সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। জাপানের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকে-এর ওয়েবসাইটে পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পার্ক করা কোস্টগার্ডের ফ্লাইট ৫১৬ বিমানে থাকা ছয়জন ক্রু সদস্যের মধ্যে পাঁচজন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন এবং সেটির পাইলট আহত হয়েছেন। ফ্লাইট ৫১৬ বিমানটি ছিল উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি বিমান। গত ১ জানুয়ারি দেশটিতে যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে কোস্টগার্ডের ওই বিমানে করে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। দুর্ঘটনার যেসব ছবি ও ভিডিও সামনে এসেছে তাতে দেখা যায় বিমানটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। যাত্রীরা বুঝতে পেরেছিলেন যে তাদের বেঁচে থাকা, না থাকা পরবর্তী কয়েক সেকেন্ডের ওপর নির্ভর করছে। জাপান এয়ারলাইনসের ওই বিমানটি ছিল সব আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন। বিশেষজ্ঞরা জানান ওই বিমানে থাকা নতুন প্রযুক্তির কারণেই এতগুলো মানুষের জীবিত বেঁচে ফেরা সম্ভব হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ক্র্যানফিল্ড ইউনিভার্সিটির পরিবহন ব্যবস্থা বিভাগের পরিচালক, অধ্যাপক গ্রাহাম ব্রেথওয়েট, জাপান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে কেবিন ক্রু এবং পাইলটদের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ব্রেথওয়েট বিবিসিকে বলেন, ‘পরিবহন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জাপানের একটি অসাধারণ রেকর্ড রয়েছে।’ ‘দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটির উদ্ধারকাজ সফল হওয়াই জানান দেয় যে, কেবিন ক্রুদের প্রশিক্ষণে কতটা বিনিয়োগ করা হয়েছে’, তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘ক্রুরা বিমানটি থেকে সবার শেষে বের হন এবং কোনো সন্দেহ ছাড়াই বলা যায় তারা এক অবিশ্বাস্য কাজ করেছেন’। এয়ারবাস এ৩৫০ হলো নতুন প্রজন্মের বিমানগুলোর মধ্যে একটি, যা প্রধানত কার্বন ফাইবার কম্পোজিট উপাদান থেকে তৈরি প্রথম বাণিজ্যিক বিমান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই উপাদানের কারণেই আগুন ধরা সত্ত্বেও বিমানটি ভালোভাবে তা প্রতিরোধ করতে পেরেছে বলে মনে হচ্ছে। যার কারণে বিমানটির ভিতরে বোর্ডে থাকা আরোহীরা পালানোর মতো সময় পেয়েছিলেন।

তার মতে, বিমানগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে বিমানের অর্ধেক জরুরি দরজা খোলা রাখা হলেও যাতে ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে সব যাত্রীকে সরিয়ে নেওয়া যায়। ‘ক্রুরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইমার্জেন্সি দরজা খুলে দিয়ে মানুষকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করেছে। জরুরি অবতরণের স্লাইডটিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে অল্প সময়ের মধ্যে স্ফীত হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর