বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইরানে সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণ, নিহত ৭৩

ইরানের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের কুদস ফোর্সের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০২০ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলাইমানিকে হত্যা করে আমেরিকা। গতকাল ছিল তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। এ জন্য তার সমাধিতে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো মানুষ। সেখানেই ঘটে জোড়া বিস্ফোরণ। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৩ জন। আহত হয়েছেন আরও ১৭০ জন।

হামলাটি এমন সময় ঘটল যখন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বৃহত্তর উত্তেজনা চলছে। এর আগে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষ কেরমান প্রদেশের ‘শহীদ গুলজার’ কবরস্থানের দিকে যাওয়ার পথে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রথম বিস্ফোরণটি হয় সোলাইমানির সমাধি থেকে ৭০০ মিটার দূরে। দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি সমাধি থেকে এক কিলোমিটার দূরে।

বিস্ফোরণের ভয়ানক শব্দ শুনে শহীদ গুলজারের দিকে জিয়ারতের জন্য যাওয়া যাত্রীরা দ্রুত রাস্তা ছেড়ে দেয়, যাতে অ্যাম্বুলেন্সগুলো বিস্ফোরণস্থলের দিকে যেতে পারে। কেরমানের জরুরি বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ১৫ জনকে এখন পর্যন্ত কেরমান হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শহীদ সোলাইমানির কবর জিয়ারতকারীদের পথে বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে কেরমানের গভর্নরের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, এগুলো গ্যাস বিস্ফোরণ ছিল না কি সন্ত্রাসী হামলা তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলা বলে অভিহিত করেছেন এক কর্মকর্তা। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর দেশটির ‘সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি’ মনে করা হতো কাসেম সোলাইমানিকে।

আইআরজিসির কমান্ডার হিসেবে বহির্বিশ্বে বাহিনীটির কর্মকা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কুদস ফোর্সের দেখভাল করতেন সোলাইমানি। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ভূরাজনৈতিক কৌশল তৈরির নেপথ্য কারিগর হওয়ায় তাকে তেহরানের মধ্যপ্রাচ্য নীতির স্থপতি হিসেবে মনে করা হতো। কাসেম সোলাইমানিকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতির জন্য হুমকি মনে করত ওয়াশিংটন। ২০২০ সালে সোলাইমানিকে গুপ্তহত্যার নির্দেশ দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু গতকালের ঘটনার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি।

 

সর্বশেষ খবর