বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অরৌরি হত্যার পরিণতি কেমন হতে পারে

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় দাহিয়া এলাকার একটি ভবনে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ড্রোন থেকে পর পর তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। মঙ্গলবার এ হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপপ্রধান সালেহ আল আরুরি ও কাসাম ব্রিগেডসের দুই কমান্ডারসহ অন্তত সাতজন নিহত হন।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পর ইসরায়েল-ঘোষিত গুপ্তহত্যা মিশনের প্রথম শিকার হলেন সালেহ আল অরৌরি। হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপপ্রধান অরৌরিকে ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলবিরোধী আল আকসা তুফান অভিযানের ‘প্রধান স্থপতি’ বলে অভিহিত করা হয়।

ওই গুপ্তহত্যার পর পরই ইসমাইল হানিয়া বলেন, নিহত আরুরি ও তার সহকর্মীদের তাজা রক্ত গাজা উপত্যকা ও পশ্চিমতীরের হাজার হাজার নিহতের রক্তের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। এ রক্ত বৃথা যাবে না। এদিকে গার্ডিয়ান এ হত্যাকাণ্ডের প্রভাব কেমন পরতে পারে তা নিয়ে গতকাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাতে বলা হয়, এ ধরনের কৌশল ইসরায়েলের জন্য বুমেরাং হতে পারে। ইসরায়েলের আগের গুপ্তহত্যার নিশানা থাকা কেউ কেউ গার্ডিয়ানকে বলেছেন, তারা নিবৃত্ত হননি, বরং তারা আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছেন। অন্যরা বলছেন, এ ধরনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে ব্যক্তি বা সংগঠনের যে কোনো ক্ষতিই সাময়িক। বিশ্লেষকরাও বলেছেন, গুপ্তহত্যার পরিণতি প্রায়ই খুব অপ্রত্যাশিত বা অনিশ্চিত হয়ে থাকে। একজন নেতার মৃত্যু একটি গোষ্ঠীকে তার কৌশল পরিবর্তনে বাধ্য করতে পারে।

এমনকি সহিংসতা ত্যাগ করতেও বাধ্য করতে পারে। কিন্তু একইভাবে অন্য কারও উত্থান ঘটাতে পারে, যিনি হয়তো আরও অনমনীয়। এদিকে হিজবুল্লাহর প্রধান গতকাল ভাষণ দিয়েছেন তাতে তিনি অঙ্গীকার করেছেন, লেবাননের মাটিতে যে কোনো হত্যাকান্ডের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর