পাকিস্তানে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দিতে একটি প্রস্তাব পাস করেছে পাকিস্তান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট। ৮ ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া নির্বাচন পিছিয়ে দিতে সিনেটে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্বতন্ত্র সিনেটর দিলাওয়ার খান। এতে সমর্থন জানান বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা। নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব পাসের ক্ষেত্রে শীতকালীন আবহাওয়া ও নিরাপত্তা শঙ্কাকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে সিনেট প্রস্তাবটি গ্রহণ করলেও দেশটির নির্বাচন কমিশনের সেটি মানার বাধ্যবাধকতা নেই। সেক্ষেত্রে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারিই নির্বাচন হবে, না আরও বিলম্বিত হবে সেটি ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন।
ভোট পেছানোর দাবির ব্যাপারে স্বতন্ত্র সিনেটর দিলাওয়ার খান বলেন, নির্বাচন আয়োজনে বর্তমানে উপযুক্ত পরিস্থিতি নেই। মহসিন দাওয়ার এবং জমিয়ত উলামা-ই-ইসলামের (জেইউআই-এফ) সদস্যরা হামলার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া বেলুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখাওয়াতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হামলার মুখে পড়েছেন। নির্বাচনের র্যালিতে হামলার ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকেও সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে দেশটির জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল-এর প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান গত সোমবার যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি-না সেটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন।এদিকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানসহ এর মিত্র দলগুলোর ৯০ শতাংশ নেতাই বাদ পড়েছিল। গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয়। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম লীগের (নওয়াজ) সিনেটর আফনানউল্লাহ এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আসলেই ভালো নয়। কিন্তু ২০০৮ ও ২০১৩ সালে পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল। তবুও তখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’