শনিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
আইসিজেতে শুনানি

গাজা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের শীর্ষ পর্যায় থেকে

গাজা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের শীর্ষ পর্যায় থেকে

ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালিয়ে গাজা উপত্যকাকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশ ছিল। অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগের ওপর দুই দিনের শুনানি গত বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) শুরু হয়েছে। শুনানির প্রথম দিন দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবীরা তাঁদের বক্তব্যে ফিলিস্তিনে সামরিক অভিযান বন্ধের ওই আবেদন জানান। জাতিসংঘের শীর্ষ এ আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

ইসরায়েল অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। গতকাল আইসিজেতে গণহত্যার অভিযোগের বিষয়ে পাল্টা বক্তব্য উপস্থাপন করবে ইসরায়েল।

মামলাটিতে দুই দিনের শুনানিতে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরা হবে। এ মামলায় সমর্থন দিচ্ছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ৫৭ সদস্যের এই সংস্থায় সৌদি আরব, ইরান, পাকিস্তান, মরক্কোর মতো দেশ গত ৩০ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকাকে সমর্থন জানিয়েছে। ২ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে সমর্থনের কথা জানানো হয়। এ ছাড়া তুরস্ক, জর্ডান, বলিভিয়া, মালদ্বীপ, নামিবিয়ার পক্ষ থেকেও সমর্থন জানানো হয়েছে। এর বাইরে সমর্থন জানানো হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে।

বলিভিয়া বলেছে, এর আগে গত ৩০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলি করিম খানের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, কমোরোস ও জিবুতির সঙ্গে তারা ফিলিস্তিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানায়। গতকাল গণহত্যা মামলার শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার হাই কোর্টের আইনজীবী তেম্বেকা এনকুকাইতোবি বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গণহত্যার উপাদান পাওয়া গেছে। এসব উপাদান থেকে এটা স্পষ্ট যে, গাজাকে গুঁড়িয়ে দিতে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পরিকল্পনা করা হয়েছে।

জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিত্বকারী আদিলা হাশিম বলেন, প্রতিদিন ফিলিস্তিনি জনগণের জীবন, সম্পদ, মর্যাদা ও মানবিকতার অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। আদালতের একটি রায় ছাড়া তাঁদের দুর্ভোগের অবসান হবে না।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুনানি শুরুর আগে ইসরায়েলি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইসিজেতে তথ্য-উপাত্ত জমা দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। আদালতে ওই সব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, ইসরায়েলের পদক্ষেপে এটা স্পষ্ট, ফিলিস্তিনি জাতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ওই তৎপরতা চালানো হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিচারমন্ত্রী রোনাল্ড লামোলা বলেন, কোনো হামলাই গণহত্যা সনদ লঙ্ঘনের সাফাই দিতে পারে না।

 

সর্বশেষ খবর