শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ট্রাম্পের সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ শুরু করেছে জাপান

ট্রাম্পের সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ শুরু করেছে জাপান

ফুমিও কিশিদা

অনেকটাই নিশ্চিত আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন পাচ্ছেন ট্রাম্প। আর বিভিন্ন জরিপ বলছে, সামনের নির্বাচনে জয়ও পেয়ে যেতে পারেন খ্যাপা এই প্রেসিডেন্ট। এমন অবস্থায় আগে থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে জাপান। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা মূলত ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর টোকিওর জন্য একটি সম্ভাব্য ‘দুঃস্বপ্ন’ এড়ানোর প্রচেষ্টা। চীনের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এখনো যুক্তরাষ্ট্রের আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট তারো আসোকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

গত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তারো আসো মার্কিন সিনেটর বিল হ্যাগারটির সঙ্গে একটি নৈশভোজে যোগ দেন। বিল একসময় ট্রাম্পের অধীনে  জাপানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে পরের দিন নিউইয়র্কে যাত্রা করেন তারো। ট্রাম্প সেদিন নিউইয়র্কে ছিলেন একটি মামলার বিচারে আদালতের অধিবেশনে অংশ নিতে। তবে সেদিন তিনি ব্যস্ততার কারণে তারো আসোর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। গত বছরের শেষদিকে ট্রাম্প জাপান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।

ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন নিয়ে আতঙ্কিত ইউরোপ : ইউরোপের রাজনীতিতে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ বাজার বিষয়ক প্রধান থিয়েরি ব্রেটন জানিয়েছেন, ট্রাম্প ২০২০ সালে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনকে সরাসরি বলে দিয়েছিলেন যে, ‘ইউরোপ যদি কখনো আক্রমণের মুখে পড়ে তবে আমরা আপনাদের সাহায্য করতে কিংবা সমর্থন দিতে আসব না।’

একাধিক ইইউ কর্মকর্তা এবং কূটনীতিক সিএনএনকে জানিয়েছেন, ইউরোপ মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের বাইরেও নিজস্ব প্রতিরক্ষা সক্ষমতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনকে সহায়তা পাঠাতে গিয়ে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর গোলাবারুদের মজুদ শেষ হয়ে গেছে। তবে ট্রাম্প আসলেই ভন ডার লিয়েনকে ওই কথা বলেছিলেন কি না তা নিয়ে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা অতটা ভাবছেনও না। কারণ তিনি এমনিতেও বহুবার তার একই ধরনের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। ইউরোপীয় কিছু কূটনীতিক জানিয়েছেন, ট্রাম্প চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে আপাতত শান্ত থাকা এবং ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ক্রমশ দূরে সরিয়ে নেওয়া।

 

 

সর্বশেষ খবর