সোমবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান প্রত্যাখ্যান নেতানিয়াহুর

জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র মেনে নেওয়ার চাপ এলেও গোঁ ধরেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, পুরো ফিলিস্তিনি ভূখন্ডের নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতেই থাকা উচিত এবং এ শর্ত ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ‘বিপরীত’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রায় ফিকে হতে বসা ‘টু-স্টেট সল্যুশন’ বা ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’ নীতি পুনরায় বিশ্ব মোড়লদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে হাজির হয়েছে। পক্ষান্তরে তিনি পুরো ফিলিস্তিনি ভূখন্ডের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা অর্জনের পক্ষে অটল। পুরো ফিলিস্তিন ভূখন্ড যদি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকে, তার অর্থ দাঁড়ায় ফিলিস্তিন বলতে আলাদা রাষ্ট্র থাকবে না। ফিলিস্তিন থাকবে ইসরায়েলের অধীনে। সর্বশেষ জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস উগান্ডায় জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে অবশ্যই রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে বলে জোর দাবি জানান। তিনি বলেন, তা না হলে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল সংকটের কোনো সমাধান হবে না। দীর্ঘস্থায়ী হবে বর্তমানের যুদ্ধ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। বিবিসি জানায়, ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়ে গত শুক্রবার টেলিফোনে আলাপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নেতানিয়াহু। প্রায় এক মাস পর এ দুই নেতার এটি প্রথম আলাপ। তাদের আলাপের পর শুক্রবার বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান এখনো সম্ভব। বলেন, ‘বিভিন্নভাবে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান হতে পারে। জাতিসংঘে এমন কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে যাদের নিজস্ব সেনাবাহিনী নেই।’ যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য সবসময়ই বলেছে, তারা ইসরায়েলের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে বিশ্বাস করে। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এ সপ্তাহে এটাও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ‘স্পষ্টভাবেই ভিন্ন’। সেই ভিন্নতা যে কতখানি তা শনিবার আবারও স্পষ্ট করে দেখালেন নেতানিয়াহু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ নেতানিয়াহু শনিবার আরও লেখেন, ‘ইসরায়েল অবশ্যই জর্ডানের পশ্চিমের পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখবে।’

গাজায় নিহত ২৫১০৫, আহত ৬২৬৮১ : অবরুদ্ধ গাজা ভূখে  ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ২৫ হাজার ১০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সেখানে আহত হয়েছে আরও ৬২ হাজার ৬৮১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে অন্তত ১৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২৯৩ জন। এ ছাড়া মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলি আক্রমণের ফলে গাজার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র ঘাটতির সম্মুখীন হয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর