বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

এক মাসের যুদ্ধবিরতির পথে হামাস-ইসরায়েল

অবশেষে এলো স্বস্তির খবর। গাজায় এক মাসের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অনেকটা অগ্রসর হয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা এবং গাজার হামাস সরকার। তবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে উভয়পক্ষের মতপার্থক্য এখনো দূর হয়নি। গতকাল তিনটি সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধের শুরু থেকে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিসর।

এর আগের দিন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সংস্থাটির মহাসচির অ্যান্তোনিও গুতেরেস মানবিক কারণে প্যালেস্টাইনের গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান পুনরায় ব্যক্ত করেছেন। এ সময় ইসরায়েলের আশদোদ বন্দর হয়ে গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা ফের চালু করার দাবি জানান গুতেরেস। হামাসের হাতে থাকা জিম্মি ও ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি, গাজায় সহিংসতা বন্ধ করা এবং উপত্যকায় ত্রাণের সরবরাহ আরও বাড়াতে উভয় পক্ষই এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে। এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনার শুরুতে বেসামরিক ব্যক্তি ও পরবর্তীতে সেনাদের মুক্তি, দুই পক্ষের সহিংসতায় বিরতি, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি ও গাজায় আরও ত্রাণ পাঠানো এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে। তবে রয়টার্স এও জানিয়েছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির শর্তে ইসরায়েল সম্মত না হওয়া পর্যন্ত হামাস যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অগ্রসর হতে অস্বীকার জানিয়েছে। যুদ্ধবিরতি শেষে স্থায়ীভাবে সংঘাত নিরসনের নিশ্চয়তা চেয়েছে হামাস।

ইসরায়েল চলতি সপ্তাহে দুই মাস যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব হামাসের কাছে পাঠায়। সেই প্রস্তাবে জিম্মি ও বন্দি মুক্তির পাশাপাশি গাজায় অবস্থানরত ইয়াহিয়া সিনওয়ারসহ গাজার জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিরাপদে অন্য কোনো দেশে চলে যেতে দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি সংগঠনটি। আলোচনার সঙ্গে যুক্ত এমন এক সূত্র জানায়, এ পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয় ২৮ ডিসেম্বর থেকে। প্রায় এক মাস ধরে চলমান এ আলোচনায় বেশিরভাগ বিষয়ে একমত হতে সমর্থ হয়েছে দুই পক্ষ। প্রাথমিকভাবে এক মাস যুদ্ধবিরতির দিকে এখন নজর দেওয়া হচ্ছে। হামাস শুরুতে ‘কয়েক মাস’ যুদ্ধবিরতির দাবি করেছিল। রয়টার্স জানায় দুটি মিসরীয় নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে যে, প্রাথমিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য হামাস শর্ত দিয়েছে যে চুক্তির দ্বিতীয় ধাপটি যেন সম্পন্ন করা হয়।

গাজার কোনো স্থানই নিরাপদ নয়, নিহত ২৫৫০০ : গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যকার সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ হাজার ৪৯০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ। এদিকে দক্ষিণ খান ইউনিসের চার বর্গ কিলোমিটার এলাকা থেকে প্রায় ৯০ হাজার বাসিন্দা এবং ৪ লাখ ২৫ হাজার বাস্তুহারা লোকজনকে অন্যত্র সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনী। এই বিপুল পরিমাণ বেসামরিক নাগরিক গাজার অন্য সব শহর থেকে খান ইউনিসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু গাজার কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নয়। বিশেষ করে খান ইউনিসে এখন হামলা আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

সর্বশেষ খবর