শিরোনাম
রবিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

খান ইউনিসে তুমুল লড়াই

♦ ইসরায়েলি বিমান, ট্যাঙ্ক এবং পদাতিক সেনারা ♦ ২৪ ঘণ্টায় ১১ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে

ফিলিস্তিনির গাজায় হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। বিশেষ করে খান ইউনিসে। সেখানের নাসের হাসপাতাল এরই মধ্যে পুরোপুরি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে রোগীরা। কয়েক দিন ধরেই খান ইউনিসে অব্যাহত বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাছাড়া আল-দাহারা এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এদিক দিকে খান ইউনিসে ইসরায়েলের হাতে অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত হয়েছে। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে গতকাল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার খান ইউনিসে যুদ্ধে ইসরায়েলি বিমান, ট্যাঙ্ক এবং পদাতিক সেনারা গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। এর আগে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অপর একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল সেনারা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। তখন যোদ্ধাদের একটি দল তাদের সেনাদের কাছে বিস্ফোরক রাখার চেষ্টা করছিল এবং অন্য দলগুলো সেনাদের লক্ষ্য করে রাইফেল ও রকেটচালিত গ্রেনেড ছুড়ছিল। এ হামলায় ইসরায়েলি সেনাদের কেউ হতাহত হয়েছে কি-না জানা যায়নি। অন্যদিকে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ হাজার ৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৪৮৭ জন। তা ছাড়া হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন।

এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিষয়ে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনের ‘লঙ্ঘনের’ জন্য ইসরায়েলকে ‘জবাবদিহি’ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সৌদি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের সুরক্ষা প্রদানের জন্য ‘আরও পদক্ষেপ’ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এর আগে শুক্রবার গাজায় গণহত্যা ইস্যুতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। রায়ে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলকে গণহত্যা বন্ধে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রায়ে আদালতের প্রেসিডেন্ট মার্কিন বিচারক জে দোঙ্গু বলেন, ‘আদালত ইসরায়েলকে নির্দেশ দিচ্ছেন, গাজায় গণহত্যা সংঘটিত যেন না হয় সেজন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয়তা ব্যবস্থা নিতে হবে।’ রায়ে আদালত ইসরায়েলকে আরও নির্দেশ দেন, ‘সেনারা যেন কোনো ধরনের গণহত্যা সংঘটিত না করেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং গণহত্যার নির্দিষ্ট (অভিযুক্ত) প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে।’ রায়ে আরও বলা হয়, ‘গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পৌঁছ দিতে হবে এবং গাজার সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে হবে।’ -আল-জাজিরা।

এ ছাড়া ত্রাণ পৌঁছানো এবং গণহত্যা প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে এক মাসের মধ্যে আদালতের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে দখলদার ইসরায়েলকে। তবে যেটি ধারণা করা হয়েছিল, গাজায় ইসরায়েলকে তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ আদালত দেবেন; সে ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। গাজায় আগ্রাসন ও গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে গত বছরের শেষের দিকে আইসিজেতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এএফপি

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর