সোমবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফ্রান্সে বিশ্বখ্যাত মোনালিসার ছবিতে স্যুপ ছোড়া হলো

ফ্রান্সে বিশ্বখ্যাত মোনালিসার ছবিতে স্যুপ ছোড়া হলো

ফ্রান্সে পরিবেশবাদীদের বিক্ষোভের মধ্যে ল্যুভর মিউজিয়ামে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। এখানে দুই পরিবেশকর্মী বিশ্ববিখ্যাত মোনালিসার ছবিতে স্যুপ ছুড়েছেন। ল্যুভর মিউজিয়ামে বুলেটপ্রুফ স্বচ্ছ কাঁচের দেয়ালের পেছনে ছবিটি রাখা। তাই ছুড়ে দেওয়া স্যুপ সেটির ক্ষতি করতে পারেনি বলেই আশা করা হচ্ছে। ‘স্বাস্থ্যকর এবং টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার’ দাবিতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুর দিকে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা মোনালিসা বিশ্বখ্যাত চিত্রকর্মগুলোর অন্যতম।

বিবিসি জানায়, এ ঘটনার একটি ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দুই নারী বিক্ষোভকারী মোনালিসার সামনে গিয়ে হাতে থাকা স্যুপের কাপ থেকে সেটির দিকে ছুড়ে মারছেন। এরপর তারা সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড পেরিয়ে ভিতরে ঢুকে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের একজনের গায়ে ‘ফুড রেসপন্স’ লেখা টি-শার্ট দেখা গেছে। তারা স্ট্যান্ডের সামনে দাঁড়িয়ে ‘স্বাস্থ্যকর এবং টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার’ অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানান। বলেন, ‘আমাদের কৃষি ব্যবস্থা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।’

১৯৫০-এর দশকে মোনালিসা পেইন্টিংটি বুলেটপ্রুফ গ্লাসে ঢোকানো হয়েছিল। একবার এক ব্যক্তি পেইন্টিংয়ের ওপর অ্যাসিড ছুড়েছিলেন, যার কারণে ছবিটির ক্ষতি হয়েছিল। এর পরে পেইন্টিংটি আরও সংরক্ষণের জন্য বুলেটপ্রুফ গ্লাস স্থাপন করা হয়েছিল। পেইন্টিংয়ে স্যুপ ছুড়ে ফেলার ঘটনাটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ২০২২ সালে একজন কর্মী মোনালিসাকে কেক ছুড়ে মানুষকে ‘পৃথিবী সম্পর্কে চিন্তা করার’ আবেদন করেছিলেন।

মোনালিসার পেইন্টিংটি ১৯১১ সালে চুরি হয়েছিল। ভিনসেঞ্জো পেরুগিয়া নামের জাদুঘরের এক কর্মচারী ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে এই পেইন্টিং চুরি করেছিলেন। যদিও ১৯১৩ সালে পেইন্টিংটি উদ্ধার করা হয়েছিল যখন এটি ইতালির একটি বাজারে বিক্রি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ চুরিটি একটি আন্তর্জাতিক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল এবং মোনালিসার ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে রয়ে গেছে।

মোনালিসা একটি বিশ্বখ্যাত চিত্রকর্ম। ইতালির শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ১৬ শতকে এই ছবিটি অঙ্কন করেন। অনেক শিল্প-গবেষক রহস্যময় হাসির এই নারীকে ফ্লোরেন্টাইনের বণিক ফ্রান্সিসকো দ্য গিওকন্ডোর স্ত্রী লিসা গেরাদিনি বলে শনাক্ত করেছেন। মনে করা হয়, বিখ্যাত এ ছবিটি মোনালিসার দ্বিতীয় পুত্র সন্তান জন্মের স্মরণে অঙ্কিত হয়। মিউজিয়ামে এখনো প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শুধু মোনালিসার রহস্যময় হাসি দেখতে আসেন।

সর্বশেষ খবর