সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কারাবন্দি ইমরানের দল কোন পথে এগোবে

কারাবন্দি ইমরানের দল কোন পথে এগোবে

কারাবন্দি ইমরান খানের এ দলটি নিজেদের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে পারলেও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বড় বাধার মুখে পড়েছে। কেননা দেশটির নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে দলটিকে বাতিল ঘোষণা করেছে, দলটির প্রার্থীরা তাদের দলের নির্বাচনি প্রতীক ব্যাট নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি। আবার অন্য কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এ অবস্থায় সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটি সামনে আসছে তা হলো; পিটিআই সামনে কী করতে যাচ্ছে। সর্বশেষ হিসাবে দেখা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন জিতেছে। এর মধ্যে ৯৩ জনই ইমরান খান ও তার দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী। নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ৭৫টি আসন পেয়েছে। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছে ৫৪টি আসন। এ ছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-এমকিউএম ১৭টি, জামিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই-এফ) তিনটি। এবং বাকি আসন বিভিন্ন ছোট দল জিতেছে। পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সেটা এককভাবে সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়।

পাকিস্তানের নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, বিজয়ী হওয়ার পর এ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হাতে তিন দিন বা ৭২ ঘণ্টা সময় থাকে যে সময়ের মধ্যে তাদের কোনো একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে হবে। এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কেবল সেই দলে যোগ দিতে পারবেন যাদের নির্বাচনি প্রতীক ব্যালটে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে অযোগ্য ঘোষণা করায় কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী এ দলে যোগ দিতে পারবেন না। তাই পিটিআইকে সমর্থন দেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোনো দলে যোগদান করবেন তা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিস্ময়কর সাফল্যের ফলে, তারা দুটি প্রধান বিরোধী দল অর্থাৎ নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি থেকে যোগদানের প্রস্তাব পাচ্ছেন। এখন এটি দেখার বিষয় পিটিআইর নাম ও সমর্থন নিয়ে জয়ী হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ইমরান খানের প্রতি অনুগত থাকেন কি না। কারণ আইন অনুযায়ী কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী পার্লামেন্টে আসন পেলে, দলের নিয়ম মানতে তারা বাধ্য নন।

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ফারুক হাসনাত বলেছেন, পিটিআইর স্বতন্ত্র সদস্যদের অন্য দলে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। কারণ এ প্রার্থীরা জানেন যদি তারা আনুগত্য পরিবর্তন করেন তবে এর পরিণতি তাদের পূর্বসূরিদের মতোই হবে। তবে ভিন্ন কথা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক রসুল বখশ রইস। তার মতে, পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকে বিক্রি হয়ে যেতে পারেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি কোনো দলে যোগ না দেন তাহলে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই পার্লামেন্টে থাকবেন। এক্ষেত্রে তারা বিরোধী দলীয় নেতার পদ পেতে পারেন। কিন্তু পিটিআই চাইবে না তারা পাঁচ বছর স্বতন্ত্র থাকুক। বিবিসি

সর্বশেষ খবর