শিরোনাম
বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রদেশ সরকার গড়তে এমডব্লিউএমের সঙ্গে মিশতে চায় পিটিআই

‘মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমীন’ দলের সঙ্গে জোট করে কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে সরকার গঠন করতে চায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। দলটির মুখপাত্র রাউফ হাসান জানিয়েছেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান কারাগার থেকে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। রাউফ হাসান বলেন, ইমরান খানের স্পষ্ট বার্তা যারা নির্বাচনে জিতেছে সরকার গঠন করার অধিকার তাদেরই আছে। তারা খাইবার পাখতুনখাওয়াতে সংরক্ষিত আসনের জন্য আমরা জামায়াত-ই-ইসলামীর সঙ্গে জোট করব। বর্তমানে জাতীয় পরিষদে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের আসন সংখ্যা ৯২। এর পরেই আছে পিএমএল-এন দলের ৭৫ ও পিপিপি দলের ৫৪ আসন। তবে পার্লামেন্টের ৭০ সংরক্ষিত আসনকে যুক্ত করলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের মোট আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩৬-এ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য একটি দলকে এর মধ্যে কমপক্ষে ১৬৯ আসন পেতে হবে।

যদি পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীরা এমডব্লিউএম দলে যোগ দেয়, তাহলে তারা সমানুপাতিক হারে ওই সংখ্যক সংরক্ষিত আসন পাবেন। এভাবে তারা আরও অন্তত ২০টি আসন পাবেন। সংরক্ষিত আসন পেতে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনে একটি এফিডেভিট জমা দিতে হবে। এতে উল্লেখ থাকবে যে, তারা এমডব্লিউএম দলে যোগ দিচ্ছে। পাশাপাশি এমডব্লিউএম দলের প্রধানকেও লিখিতভাবে দিতে হবে যে, তিনি এ প্রার্থীদের তার দলের সদস্য হিসেবে মেনে নিয়েছেন।

কারচুপি স্বীকার করে আসন পিটিআইকে দিল জামায়াত নেতা : পাকিস্তানের নির্বাচনে করাচি থেকে সিন্ধের প্রাদেশিক পরিষদের এক আসনে জিতেছিলেন জামায়াত-ই-ইসলামী (জেআই) করাচির আমির হাফিজ নাঈম-উর-রহমান। কিন্তু সোমবার নাঈম সেই ফল ফিরিয়ে দিয়ে বলেছেন, আসলে তিনি নন, ওই আসনে জিতিছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-সমর্থিত (পিটিআই) স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফ বারী। করাচিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাঈম বলেন, ওই আসনে প্রকৃতপক্ষে পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থী সাইফ বারী জয়ী হয়েছেন, তিনি কোনো ‘দানের’ আসন চান না। ফল অনুসারে, ওই আসনে নাঈম ২৬ হাজার ২৯৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নাঈম জানান, তিনি করাচির ওই আসন ফিরিয়ে দিচ্ছেন কিন্তু ভোট কারচুপির ফলে তার দল যেসব আসনে হেরেছে, তার বিরুদ্ধ আইনি ও রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাবেন।

সর্বশেষ খবর