রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

গুরুত্বপূর্ণ শহর থেকে ইউক্রেনের সেনা প্রত্যাহার

ইউক্রেনের সেনাদের পূর্বাঞ্চলের ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহর আভদিভকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দেশটির নতুন সেনাপ্রধান জানিয়েছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের মে মাসের পর থেকে রুশ বাহিনীর সামনে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি অর্জনের পথ খুলে গেল। ওই সময় রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বাখমুত শহর দখল করে নিয়েছিল।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হওয়া জেনারেল ওলেকজান্দার সুরস্কি গতকাল ভোররাতে জানান, ইউক্রেনীয় বাহিনী শহরটি ছেড়ে পিছু হটে এসে আরও সুরক্ষিত এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। ওই শহরটি থেকে আমাদের ইউনিটগুলোকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়ে যাওয়া এড়ানো এবং আমাদের সেনাদের জীবন ও স্বাস্থ্য বাঁচিয়ে রেখে আরও অনুকূল লাইন থেকে প্রতিরোধ করার জন্য সরেছি আমরা। আমরা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে ও আমাদের অবস্থান বজায় রাখতে পদক্ষেপ নিচ্ছি, তিনি এমনটি বলেছেন বলে সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে প্রায় দুই বছর পার হয়েছে। এর মধ্যে ইউক্রেনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের পতন হলো।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পপ্রধান দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় রাশিয়া। এ লক্ষ্যে যে দুটি প্রদেশ নিয়ে অঞ্চলটি গঠিত সেগুলোর দখল সুরক্ষিত করতে চায় তারা। আভদিভকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মাধ্যমে ওই লক্ষ্যে একটি বড় অগ্রগতি হলো। আগামী মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। যুদ্ধের ময়দানে এ জয় পুতিনকে ফের নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সুবিধা এনে দিতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। অন্যদিকে জার্মানির মিউনিখে এক নিরাপত্তা সম্মেলনে থাকা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ পরাজয়কে তার দেশের জরুরি সামরিক সহায়তা দরকারের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে পারেন। মিউনিখের স্থানীয় সময় সকালে জেলেনস্কির সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলা টানা যুদ্ধে ইউক্রেনের সেনারা প্রায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পশ্চিমের অনিয়মিত হয়ে পড়া সামরিক সহায়তা। এ সুযোগে রাশিয়ার বাহিনীগুলো পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে, সেই ধাক্কায়ই আভদিভকার পতন হয়েছে। শহরটি থেকে ইউক্রেনের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, জেলেনস্কি বা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

সর্বশেষ খবর