শিরোনাম
বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

লোহিত সাগরে নৌ-অভিযান শুরু করছে ইইউ

ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের দৌরাত্ম্যের কারণে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর কুপ্রভাব পড়ছে। অনেক কোম্পানি বাধ্য হয়ে বিকল্প ও অনেক দীর্ঘ পথে জাহাজ চালাচ্ছে। ইইউ অর্থনীতি বিষয়ক কমিশনার পাওলো জেনিকলোনি বলেন, এর ফলে ১০ থেকে ১৫ দিনের এ বিলম্বের ফলে ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে পণ্য পাঠানোর ব্যয় প্রায় ৪০০ শতাংশ বেড়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ কিছু দেশ যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে ইরান-সমর্থিত হুতিদের ওপর পাল্টা হামলা চালিয়ে সেই পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে। এবার ইইউ সংঘবদ্ধভাবে সেখানে সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। সোমবার ইইউ আনুষ্ঠানিকভাবে লোহিত সাগরে নৌবাহিনীর মিশনের ঘোষণা দিয়েছে। গ্রিক ভাষায় ‘আসপিদেস’ বা ঢাল নামের সেই অভিযানের আওতায় চারটি জাহাজ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে লোহিত সাগরে পৌঁছে যাবে। এখনো পর্যন্ত ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও বেলজিয়াম জাহাজ পাঠিয়ে সেই মিশনে অবদান রাখতে চায়। তবে এক বছর মেয়াদের সেই অভিযানে শুধু লোহিত সাগরে বেসরকারি জাহাজের সুরক্ষার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। ইয়েমেনের ভূখে কোনো হামলা চালাবে না ইইউ। শুধু হামলা ঘটলে পাল্টা জবাব দিতে পারবে যুদ্ধজাহাজগুলো। লোহিত সাগর থেকে এডেন উপসাগর পর্যন্ত এলাকায় সেই অভিযান চলবে। জাহাজের পাশাপাশি আকাশ থেকে সতর্ক করার সিস্টেমও মোতায়েন করা হবে। এদিকে এডেন উপসাগরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর একটি কার্গো জাহাজের ক্রুরা পালিয়েছেন। রবিবার রুবিমার নামের বেলিজের পতাকাবাহী ও ব্রিটেনে নিবন্ধিত জাহাজটি হামলার শিকার হয়।

হামলার সময় জাহাজটি বাব আল-মান্দাব প্রণালির কাছাকাছি ছিল। হুতি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, রুবিমারের ক্রুরা নিরাপদ রয়েছেন। কিন্তু জাহাজটি বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে এবং ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। তিনি আরও বলেছেন, ইয়েমেনের হোদেইদাহ বন্দরের আকাশে একটি মার্কিন ড্রোনও তারা ভূপাতিত করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর