শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
লোকসভা নির্বাচন

ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেস-আপের সমঝোতা

ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেস-আপের সমঝোতা

ভারতের উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির (এসপি) সঙ্গে আসন সমঝোতার পর দিল্লি, গুজরাট, গোয়া, চণ্ডিগড় ও হরিয়ানায় আম আদমি পার্টির (আপ) সঙ্গে জোট গড়ছে কংগ্রেস। দুই দলের দুই নেতা রাহুল গান্ধী ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রতিনিধিরা বৈঠক শেষ করেছেন। আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করার পথে এগিয়ে গেছে দুই দলই।

এর আগে দীর্ঘ দর-কষাকষির পর বুধবার উত্তর প্রদেশে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়। এসপি নেতা অখিলেশ যাদব একটা সময় পর্যন্ত কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি ছিলেন মাত্র ১১টি লোকসভা আসন। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৭টি আসন ছাড়তে রাজি হন। কংগ্রেসও ২২টি আসনের দাবি থেকে সরে এসে ১৭টিতে রাজি হয়। এরপর দিল্লিতে কংগ্রেস ও আপের মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতায় সক্রিয় হয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। জানা গেছে, দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে তিনটি কংগ্রেসকে দিতে রাজি হয়েছেন কেজরিওয়াল। তাছাড়া গোয়া, গুজরাট ও হরিয়ানা রাজ্যেও আসন ভাগাভাগিতে দুই দলের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। জানুয়ারিতে কংগ্রেস ও আপ নেতৃত্ব আসন সমঝোতা নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা করলেও জট কাটেনি। দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে একটি বা দুটি ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস অন্তত তিনটিতে লড়ার দাবিতে অনড় থাকায় আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল। কংগ্রেস নেতা মুকুল ওয়াসনিকের নেতৃত্বে গঠিত আসন সমঝোতার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির অন্য চার সদস্য হলেন রাজস্থানের সবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত, ছত্তিসগড়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদ ও এআইসিসির সাবেক মুখপাত্র মোহন প্রকাশ ছিলেন বৈঠকে। সঙ্গে ছিলেন দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অরবিন্দর সিংহ লভলীও। অন্যদিকে, আপের পক্ষে রাজ্যসভা সংসদ সদস্য সন্দ্বীপ পাঠক ও দিল্লির দুই মন্ত্রী অতিশী ও সৌরভ ভরদ্বাজ অংশ নিয়েছিলেন জানুয়ারির আলোচনায়।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ‘আপ’ শাসিত দিল্লির সাতটি আসনের সব আসনই জিতেছিল বিজেপি। তার মধ্যে পাঁচটি আসনেই কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে ছিল। যদিও ২০২০ সালে দিল্লির বিধানসভায় বেশির ভাগ আসনে জিতে কেজরিওয়াল ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। গত বছর দিল্লির পৌরসভাও বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে আপ। এই পরিস্থিতিতে আপ ও কংগ্রেসের জোট হলে দেশের রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আগামী মার্চেই লোকসভা নির্বাচনের তফসিল : আগামী মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। জানা যাচ্ছে ৯ মার্চ তারিখের পর যে কোনো দিন লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারে ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই)। লোকসভার পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম, অরুনাচল প্রদেশ- ভারতের চার রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন হবে।

কমিশন সূত্রে খবর শেষবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের মতই ২০২৪ সালের নির্বাচনি ক্যালেন্ডার তৈরি হতে পারে। গত নির্বাচনে ২০১৯ সালের ১০ মার্চ তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল এবং মোট সাত দফায় ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলেছিল।

সর্বশেষ খবর