শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
বাইডেনকে চিঠি

পাকিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি নয়

নির্বাচনের ২১ দিন পর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার অধিবেশনের প্রথম দিনে ব্যাপক হট্টগোল আর বিক্ষোভের মধ্যে শপথ নেন পার্লামেন্টের নতুন সদস্যরা। শিগগিরই দেশটিতে নতুন প্রধানমন্ত্রীও নির্বাচন হয়ে যাবে। এদিকে পাকিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি লিখেছেন মার্কিন কংগ্রেসের ৩১ জন সদস্য। একই চিঠি তারা লিখেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকেও। গতকাল ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে লেখা একটি চিঠিতে মার্কিন কংগ্রেসের ৩১ জন সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। এতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৩১ জন ডেমোক্র্যাটিক সদস্যের স্বাক্ষরিত চিঠিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রতিনিধি গ্রেগ ক্যাসার এবং সুসান ওয়াইল্ড। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে প্রতিনিধি প্রমিলা জয়পাল, রাশিদা তালাইব, রো খান্না, জেমি রাসকিন, ইলহান ওমর, কোরি বুশ এবং বারবারা লির মতো আইনপ্রণেতারাও রয়েছেন। বুধবার লেখা ওই চিঠিটিতে নির্বাচনি অনিয়ম ও হস্তক্ষেপের অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে দায়িত্ব নেওয়া নতুন সরকারের স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে অনুরোধ করেছেন আইনপ্রণেতারা। একই সঙ্গে রাজনৈতিক বক্তৃতা বা কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের এ ধরনের মামলার তথ্য সংগ্রহ করার এবং তাদের মুক্তির পক্ষে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধও জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। চিঠিতে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে একটি কথা স্পষ্ট করে দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আর তা হচ্ছে, যদি প্রাসঙ্গিক কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে ওয়াশিংটন তার সামরিক ও অন্যান্য সহযোগিতা স্থগিতের মতো পদক্ষেপকে এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে। ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিনে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের পাশাপাশি ভোট ঘনিয়ে আসার আগে গ্রেফতার এবং সহিংসতার বৃদ্ধি; এবং অস্বাভাবিকভাবে বিলম্বিত ফলাফলের কারণে ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে নির্বাচনি অনিয়ম সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বেগ প্রকাশ করে ও তদন্তের আহ্বান জানায়। ইমরান খান-সমর্থিত প্রার্থীরা ৯৩টি আসন জিতেছেন কিন্তু এর পরও সরকার গঠনের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। পরে তিনি এবং তার দল ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন। রয়টার্স।

সর্বশেষ খবর