মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

পতনের মুখে নেপালের জোট সরকার

অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে পতনের মুখে নেপালের জোট সরকার। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল নতুন জোট গঠনের জন্য গতকাল প্রধান দুই বিরোধী দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর একজন সহযোগী। একসময়ের মাওবাদী গেরিলা নেতা দহল যিনি ‘প্রচণ্ড’ নামেও পরিচিত, গত বছর নেপালি কংগ্রেস পার্টি এবং আরও কয়েকটি ছোট ছোট দলের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন করেন। যদিও তার মন্ত্রিসভায় নেপালি কংগ্রেস পার্টির আধিপত্য বিরাজমান। এ আধিপত্য বিরাজ নিয়েই কোন্দল। দহলের দল মাওয়িস্ট সেন্টার পার্টির অভিযোগ, নেপালি কংগ্রেস পার্টি প্রধানমন্ত্রী দহলকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। দহল কয়েকজন মন্ত্রীর ওপর অসন্তুষ্ট এবং তাদের মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিতে চাইছেন। কিন্তু নেপালি কংগ্রেস পার্টি তাতে বাধা সৃষ্টি করছে। নেপালের ২৭৫ সদস্যের পার্লামেন্টে মাওয়িস্ট সেন্টার পার্টি তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। দহলের প্রেস সচিব গোবিন্দা আচারিয়া গতকাল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী খুব সম্ভবত নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। যেখানে প্রধান দুই বিরোধী দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউএমএল) এবং দ্য রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি (আরএসপি) থেকেও মনোনয়ন দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে মূলত নীতিগত পার্থক্য দেখা দিয়েছে। যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই তিনি ইউএমএল এবং আরএসপিকে জোটের নতুন অংশীদার করতে চাইছেন।

এ বিষয়ে ইউএমএল-প্রধান প্রদীপ গাওয়ালি বলেন, যদি দহল নেপালি কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে জোট ভাঙতে চান, তবে তাঁর দল প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করবে।

দহলের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ‘অকাজের’ কয়েকজন মন্ত্রীকে সরিয়ে দিতে চান। যাদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী প্রকাশ স্মরণ মাহাতোও রয়েছেন। তিনি নেপালি কংগ্রেস পার্টির নেতা। মাহাতোর নেতৃত্বে দেশে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে না বলেই অভিযোগ। এদিকে মাহাতো বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর নেপালের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো আছে।

২০০৮ সালে ২৩৯ বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে প্রজাতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয় নেপাল। তার পর থেকে দেশটি ১৩টি সরকার চালিয়েছে।

সর্বশেষ খবর