বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
গাজায় যুদ্ধবিরতি

আলোচনা চললেও মতৈক্য নিয়ে শঙ্কা

আলোচনা চললেও মতৈক্য নিয়ে শঙ্কা

চারদিকে ইসরায়েলি হামলা। এর মাঝে বেঁচে থাকার তাগিদ। গতকাল গাজায় বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার ত্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন কয়েকজন মানুষ -এএফপি

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা মঙ্গলবার তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। বাড়তি এই এক দিনের আলোচনার জন্য মিসরের রাজধানী কায়রোয় থেকে গেছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের আলোচকরা। এর আগে দুই দিনের আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। কায়রোর এ আলোচনাকে গাজার চলমান লড়াইয়ে প্রথম একটি দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। নতুন এ প্রস্তাবের আওতায় ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত রাখা হয়েছে। তা ছাড়া গাজায় ঘনিয়ে আসতে থাকা দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পবিত্র রমজান শুরুর আগেই সাহায্য সরবরাহের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। রমজান আগামী সপ্তাহের প্রথমেই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করেছেন পবিত্র রমজানের আগে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি না হলে ‘খুবই বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি হবে। মঙ্গলবার তিনি আরও মন্তব্য করেছেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি গ্রহণের বিষয়টি হামাসের ওপর নির্ভর করছে। এদিকে গাজায় দ্বিতীয়বারের মতো উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণসহায়তা ফেলেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছেন, বিবাদমান দুপক্ষই এখনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি চাইছে। কিন্তু নিজ নিজ দাবিতে অনড় রয়েছে। কায়রোর আলোচনায় ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল উপস্থিত নেই। তারপরও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এর আগে, রয়টার্সকে হামাসের ঊর্ধ্বতন  কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, দুই দিনের আলোচনার সময় মধ্যস্থতাকারীদের কাছে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব পেশ করেছিল হামাস। এখন হামাস এ প্রস্তাবে ইসরায়েলিদের প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষায় আছে।

গাজায় নিহত প্রায় ৩১ হাজার ছুই : গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ৭১৭ জন এবং আহত হয়েছেন ৭২ হাজার ১৫৬ জন। এদিকে গতকাল পশ্চিম তীর ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে।

 

সর্বশেষ খবর