ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, জেরুজালেমের পুরনো শহরের লায়ন্স গেটে মুসল্লিদের ওপর হামলা ও মারধর করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওয়াফা জানিয়েছে, পবিত্র আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করতে মুসল্লিদের বাধা দেয় ইসরায়েলি সেনারা এবং তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর সেনারা ওই এলাকা ঘিরে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে বলে জানা গেছে।
ওয়াফা বলেছে, পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে ইসরায়েলি বাহিনী আল-আকসা মসজিদের গেট এবং ওল্ড সিটিতে কঠোর সামরিক ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছে। পশ্চিম তীরের নাবলুস, হেবরন, বেথেলহেম, রামাল্লাহ ও কালকিলিয়া শহরেও রাতভর ও সকালে অভিযান ও কিছু ক্ষেত্রে আটকের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী আল-আকসা মার্টারস ব্রিগেড বলেছে, তাদের যোদ্ধারা উত্তর গাজার ইরেজ ক্রসিংয়ের চারপাশে তাঁবুতে অবস্থানরত ইসরায়েলি সেনাদের একটি সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, যোদ্ধারা ৬০ মিমি-মর্টার শেল ব্যবহার করে যা ‘শত্রুসেনাদের ওপর সরাসরি আঘাত করে’।
এদিকে ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেডস বলেছে, তাদের ব্যাটালিয়ন অধিকৃত পশ্চিম তীরের সিলাত আল-হারিথিয়া গ্রামে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।
টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ভারী গুলি ও বিস্ফোরক ডিভাইস নিয়ে গ্রামটিতে হামলা চালানোর সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সিলাত আল-হারিথিয়া পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের অধিকৃত জেনিন শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনারা খান ইউনিসের কারারা এলাকায় ১৫ ফিলিস্তিনি যোদ্ধা এবং ইসরায়েলের হামাদ এলাকায় আরও কয়েকজন যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে।