বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করল কানাডা

ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করল কানাডা

গাজায় বিধ্বস্ত বাড়িতে আশ্রয় খোঁজার চেষ্টা -এএফপি

ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। মঙ্গলবার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কানাডাই শুধু ইসরায়েলকে যোগাযোগ সরঞ্জামের মতো ‘প্রাণঘাতী নয়’ এমন অস্ত্রের চালান রপ্তানি করেছে। তবে জানুয়ারি থেকে দেশটিতে কোনো রপ্তানি করা হয়নি বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

কানাডা যেসব দেশে বেশি অস্ত্র রপ্তানি করে থাকে তার একটি ইসরায়েল। রেডিও কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইসরায়েলে ২ কোটি ১০ লাখ কানাডীয় ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল কানাডা। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে রপ্তানি হয় ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম। অস্ত্র রপ্তানির শীর্ষ ১০ দেশের একটি কানাডা। মার্চে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক ও আইনজীবীদের একটি দল কানাডা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, কানাডা সরকার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইন দুই-ই লঙ্ঘন করছে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের জন্য কাজ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গত সোমবার কানাডার পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।

চলতি মাসেই কানাডা সরকারের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করার জন্য একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল আইনজীবীদের একটি জোট এবং ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ানরা। তারা বলেছিল, কানাডা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় আইন লঙ্ঘন করছে।

ত্রাণ সরবরাহে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : এদিকে গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসান না হলে এবং ত্রাণের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি করা না হলে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে মে মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রদানে ইসরায়েলের বিধিনিষেধ ‘যুদ্ধাপরাধ’-এর সমতুল্য হতে পারে; এমনটাই মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান।

৯০ বন্দুকধারীকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের : ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, গাজার আল-শিফা হাসপাতালে বুধবার অভিযান চালিয়ে তারা প্রায় ৯০ বন্দুকধারীকে হত্যা করেছে এবং ১৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে। গাজায় যুদ্ধের আগে সবচেয়ে বড় হাসপাতাল ছিল আল-শিফা। এখন হাতেগোনা যে কয়টি হাসপাতাল আংশিক সচল আছে তার একটিতে পরিণত হয়েছে এই হাসপাতাল। গাজার উত্তরের এই হাসপাতালে বাস্তুচ্যুত মানুষেরাও আশ্রয় নিয়ে আছে। তবে হামাস এবং হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীরা ইসরায়েলের এমন দাবি অস্বীকার করেছে। হাসপাতালটি কোনো সামরিক উদ্দেশে ব্যবহার করা হয় না এবং যোদ্ধাদেরও আশ্রয় দেওয়া হয় না বলে জানিয়েছে তারা।

সর্বশেষ খবর