বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
কেজরিওয়াল গ্রেফতার

যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

ভারতের আইনি ব্যবস্থাকে অপবাদ দেওয়া সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের ঘটনার প্রতি নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বক্তব্যের পর গতকাল দিল্লিতে নিযুক্ত এক শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিককে ডেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। মার্কিন ওই কর্মকর্তার নাম গ্লোরিয়া বারবেনা। তিনি দিল্লির মার্কিন দূতাবাসের অন্তর্র্বর্তীকালীন উপ-প্রধান। প্রায় ৪০ মিনিট ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ছিলেন বারবেনা।

এরপরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যেভাবে ভারতের একটি আইনি কার্যক্রম নিয়ে মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। তাঁকে বলা হয়, কেজরিওয়ালের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে মন্তব্য করেছে, তা অবাঞ্ছিত ও অনভিপ্রেত।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রগুলো একে অন্যের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোর প্রতি সম্মান দেখাবে, এটাই কূটনীতিতে আশা করা হয়।’ ভারতের আইনি ব্যবস্থাকে অপবাদ দেওয়া সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত বলেও ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে ভারত। এর আগে জার্মানিও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার নিয়ে মন্তব্য করায় ক্ষুব্ধ ও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

কী বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি : ২১ মার্চ কেজরিওয়াল গ্রেফতারের পর জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেবাস্তিয়ান ফিশার বলেছিলেন অন্য যে কোনো অভিযুক্তের মতোই কেজরিওয়ালেরও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। অপর দিকে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল যে, মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ইমেইলে পাঠানো এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল যাতে সময়মতো ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যান, সেটাই কাম্য। এসব মন্তব্যে ভারতের তরফ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। দিল্লিতে মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার নীতি বদল করে কেজরিওয়াল এবং কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতা মদ কারবারিদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন, এই অভিযোগেরই তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

আরও বিপাকে কেজরিওয়াল : আজ ইডির কাছ থেকে ছাড়া পাচ্ছেন কেজরিওয়াল। কিন্তু তারপরও তার মুক্তি মিলছে না। কারণ সহসাই তিনি বাড়ি ফিরতে পারছেন না। একটি সূত্রের খবর, ইতোমধ্যেই কেজরিওয়ালকে হেফাজতে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আরও এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

সর্বশেষ খবর