বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ

ছয় মাসে ১০ হাজার নারী নিহত ১৯ হাজার শিশু অনাথ

♦ যুদ্ধটি যেন গাজার নারীদের বিরুদ্ধেই চলছে ♦ গতকাল পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৮৯৯ জন নিহত

গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের ছয় মাসের বেশি পেরিয়েছে। ইসরায়েলের এ নৃশংস হামলা থেকে নারী, শিশু, যুবক, বৃদ্ধ কেউই রক্ষা পাচ্ছে না। গত ৭ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৮৯৯ জন নিহত হয়েছে। আর এ সময়ের মধ্যে ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নারী ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, নিহত ১০ হাজার নারীর মধ্যে অন্তত ৬ হাজার মা রয়েছেন। আর এ মায়েদের মৃত্যুর ফলে কমপক্ষে ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি শিশু অনাথ হয়েছে।

শুধু তাই নয়, ইসরায়েলি বিমান হামলা ও স্থল অভিযান থেকে যেসব নারী বেঁচে গেছেন, তারা দিন পার করছেন অনাহারে। বেশির ভাগই হয়েছেন বাস্তুচ্যুত, বিধবা কিংবা সন্তানহারা। সম্প্রতি প্রকাশিত ইউএন উইমেনের ‘জেন্ডার অ্যালার্ট : স্কার্সিটি অ্যান্ড ফিয়ার’- শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান যুদ্ধটি যেন গাজার নারীদের বিরুদ্ধেই চলছে। প্রতিবেদনে বিশুদ্ধ পানীয় জল, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ)-এর মতো মৌলিক পরিষেবাগুলোর অভাবের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। নারীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ও মান-মর্যাদার বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে সেখানে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গাজায় এক মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনি নারী বর্তমানে ভয়াবহ খাদ্যাভাবে রয়েছেন। স্তন্যদানকারী মা এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশুদ্ধ পানির অতিরিক্ত চাহিদা থাকলেও প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট সুবিধাও নেই তাদের। এমতাবস্থায় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যদিয়ে দিন পার করছেন তারা।

ইউএন উইমেনের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ৬ লাখ ৯০ হাজার নারী ও মেয়েদের জন্য প্রতি মাসে অন্তত ১০ মিলিয়ন স্যানিটারি প্যাড প্রয়োজন, যে চাহিদাও মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।

জেনেভায় এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ইউএন উইমেন ইন আরব স্টেটসের আঞ্চলিক পরিচালক সুজান মিখাইল বলেন, ‘গাজার এ যুদ্ধ নিঃসন্দেহে নারীদের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নারীদেরই সবচেয়ে ভারী মূল্য দিতে হচ্ছে’, যোগ করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর