শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফিলিস্তিনিদের ‘শেষ আশ্রয়’ রাফার দিকে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী

ফিলিস্তিনিদের শেষ আশ্রয় রাফায় ঢুকে ইসরায়েলি বাহিনী এবার ভয়ংকর হত্যা ও ধ্বংস চলানোর প্রস্তুতি শেষ করেছে। বিষয়টি গতকাল গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি এক সেনা কর্মকর্তা। তেল আবিবের এ পদক্ষেপে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাফার নিরীহ মানুষদের কথা ভেবে হামলা চালানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে এ রাফায়। হামাসের এক দিনের হামলার জবাবে সাত মাস ধরে গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল।

এখন রাফায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালালে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে বলে সতর্ক করেছে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের এক মুখপাত্র জানান, ইসরায়েল ‘স্থল অভিযান’ চালানোর জন্য এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো সময়সূচি উল্লেখ করেননি তিনি। ধারণা করা হচ্ছে আজই হয়ত হামলা শুরু করবে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওই কর্মকর্তা জানান, হামলা চালানোর  আগে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিয়ে রাখার জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৪০ হাজার তাঁবু কিনেছে, এর প্রতিটিতে ১০ থেকে ১২ জন থাকতে পারবে।

ইসরায়েল সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাফার বেসামরিকদের স্থানান্তর অনুমোদনের জন্য নেতানিয়াহুর যুদ্ধ মন্ত্রিসভা দুই সপ্তাহের মধ্যে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করেছে আর এক মাসের মধ্যেই স্থানান্তর শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নাম না প্রকাশ করার অনুরোধ জানানো ওই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, সামরিক বাহিনী এখনই অভিযান শুরু করে দিতে পারত কিন্তু তারা নেতানিয়াহুর সবুজ সংকেতের অপেক্ষায়  আছে। গাজায় ছয় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলার মুখে বহু ফিলিস্তিনি অন্য স্থান থেকে পালিয়ে রাফার এসে আশ্রয় নিয়ে আছেন। আগে রাফাকে ‘নিরাপদ’ শহর হিসেবে ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল। এখন এ শহরটিও তাদের আক্রমণের লক্ষ্য হওয়ায় ওই ফিলিস্তিনিরা আবার পালাতে হতে পারে আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে আছেন।

এদিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, ওয়াশিংটন এখনো রাফার বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তরা খুব শিগগিরই বৈঠকে বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর