ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের বাইরে ইসরায়েলি সেনাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ ঘটনা ঘটেছে। তবে সবই ঘটেছে গাজায় চলমান যুদ্ধের আগে।
গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতেও জানানো হয়েছে, তারপরও ইসরায়েলি বাহিনীকে সামরিক সমর্থন দিয়ে যাবে মার্কিন প্রশাসন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমে সব ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত চারটি সেনা ইউনিটের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ইসরায়েল। পঞ্চম ইউনিটের বিষয়ে অতিরিক্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। এর অর্থ হলো ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সব ইউনিটই মার্কিন সামরিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য থাকবে অর্থাৎ ইসরায়েল অন্যায় করলেও তার কোনো শাস্তি হবে না এবং পার পেয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রধান সামরিক সাহায্যকারী দেশ। প্রতি বছর ইসরায়েলকে প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সেনাদের কোনো জবাবদিহিতা ছিল কি না তা বলতে অক্ষম থাকা সত্ত্বেও, ইসরায়েলের সব ইউনিটকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখায় রাজনৈতিক চাপের বিষয়টি অস্বীকার করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গাজায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত : গাজার বিভিন্ন এলাকায় বিমান থেকে গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। গতকাল ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো রাফার তিনটি বাড়িতে আর উত্তরে গাজা সিটির দুটি বাড়িতে বোমাবর্ষণ করে। এদিকে গতকাল ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে রবিবার দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে, সোমবার তারা ইসরায়েল লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা করতে মিসর যাওয়া হামাস নেতারা কায়রো ত্যাগ করেছেন। আল জাজিরা ও টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, আলোচনায় হামাসকে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে হামাস আগে থেকেই স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার দাবি করে আসছে।