শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইউক্রেন যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া

ইউক্রেন যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া

দুই বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের। এ যুদ্ধে বহু ইউক্রেনীয় সৈনিক প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে একটি রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, রুশ বাহিনী বিষাক্ত গ্যাসভর্তি গ্রেনেড ব্যবহার করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে সুবিধা লাভের জন্য রাশিয়া শ্বাসরোধী এজেন্ট ক্লোরোপিক্রিন ব্যবহার করছে। অথচ আন্তর্জাতিক আইনে এ ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা পুরো নিষিদ্ধ।

এ অস্ত্রের ব্যবহার বহুপক্ষীয় নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি ‘কেমিক্যাল ওয়েপনস কনভেনশন’ (সিডব্লিউসি)-এর লঙ্ঘন; যে কনভেনশনে রাশিয়া সই করেছে। এ কনভেনশন অনুযায়ী রাসায়নিক অস্ত্র উন্নয়ন, উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর এবং ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। বিবিসি জানায়, রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে পাকাপোক্ত অবস্থান থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের তাড়াতে ক্লোরোপিক্রিন ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের।

বুধবার ওয়াশিংটন দাবি করেছে, রাসায়নিক অস্ত্রের সংস্পর্শে এসে অন্তত ৫০০ ইউক্রেনীয় সৈন্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমনকি একজন রাশিয়ার টিয়ার গ্যাসে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারাও যান। এই শ্বাসরোধী এজেন্ট একটি  তৈলাক্ত তরল, যা চোখ, ত্বক এবং ফুসফুসে জ্বালা সৃষ্টি করে। তাছাড়া, বমি বমি ভাব, বমি এবং ডাইরিয়াও হতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি)। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এ রাসায়নিক অস্ত্র প্রচুর ব্যবহার করা হয়েছিল। অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপনসও (ওপিসিডব্লিউ) ক্লোরিপিক্রিনকে শ্বাসরোধী এজেন্ট হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

সর্বশেষ খবর