শনিবার, ৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
গাজায় হামলা বন্ধের দাবি

অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রের পর যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, মিসরের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্দোলন চলছে

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার বিভিন্ন দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধ ও ইসরায়েলের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কয়েক দিন ধরে কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ কানাডার অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিবির স্থাপন করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আর্থিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তা গাজায় যুদ্ধ চালাতে ইসরায়েলকে সাহায্য করছে।’ যুক্তরাজ্যেও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ব্রিটেনের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়, ইউসিএল ও ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থিরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। বিক্ষোভ হয়েছে মিসরের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি জন কায়রো ক্যাম্পাসে। এ ছাড়া ফ্রান্সের সায়েন্সেস পো অ্যান্ড সারবোন ও ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিজ ক্যাম্পাস এবং ইতালির স্যাপিয়েঞ্জা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও হয়েছে বিক্ষোভ। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ শত শত মানুষকে গ্রেফতার করেছে এবং গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার মন্ট্রিয়লে ইসরায়েলপন্থিরা পাল্টা বিক্ষোভ করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্কুলের ডাউনটাউন ক্যাম্পাসে একটি শিবির স্থাপন করেন। সেখানে প্রায় ১০০ জন বিক্ষোভকারী কয়েক ডজন তাঁবু নিয়ে জড়ো হন। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের শিক্ষার্থী এবং ক্যাম্পের মুখপাত্র সারা রাসিখ রয়টার্সকে বলেছেন, ‘দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পে থাকবেন তারা।’

যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ দমাতে রায়ট পুলিশ : গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই উত্তাল গোটা যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এক নজিরবিহীন দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে রইল ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া। আচমকা ক্যাম্পাস চত্বরে ঢুকে পড়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারপর স্টেনগান এবং টিয়ার গ্যাসের শেলের মাধ্যমে বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় তারা। গ্রেফতারও করা হয়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এ দিন জাতির উদ্দেশে এ নিয়ে বিবৃতি দিতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদের অধিকার থাকলেও অশান্তি করার অধিকার কারও নেই।’ তাতে অবশ্য ভোটের মুখে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রসমাজ।

বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া ক্যাম্পাসের দখল নিতে শুরু করে পুলিশ। প্রায় ৫২ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়েন আমেরিকার অন্যতম প্রিমিয়ার এ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে অনেক দিন আগ থেকেই আন্দোলন শুরু করেছিলেন আমেরিকার ছাত্রছাত্রীরা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ছাত্রবিক্ষোভের এমন চেহারায় প্রবল অস্বস্তিতে বাইডেন প্রশাসন। সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়ে বিরোধী রিপাবলিকানরা দাবি তুলেছে, ক্যাম্পাসে শান্তি ফেরাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হোক ন্যাশনাল গার্ডদের হাতে।

সর্বশেষ খবর