শনিবার, ৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি

বিপাকে প্রবাসীরা

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

নিউইয়র্ক-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ হয়ে ঢাকায় চলাচলকারী ফ্লাইটগুলোর সংখ্যা হ্রাসের পাশাপাশি টিকিটের দাম বাড়িয়েছে প্রায় সব এয়ারলাইনস। এতে আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষে যারা বাংলাদেশে স্বজনদের সান্নিধ্যে কোরবানির কথা ভাবছেন তারা গভীর হতাশা ব্যক্ত করছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাভেল এজেন্টদের সমন্বয়ে গঠিত আমেরিকান ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আটাব)-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সেলিম হারুন (কর্ণফুলী ট্রাভেল) বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় যাতায়াতকারী প্যাসেঞ্জারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সাম্প্রতিক সময়ে আমিরাত, কাতার, কুয়েতের ফ্লাইট কমানো হয়েছে। এর ফলে প্যাসেঞ্জারকে টিকিট প্রদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নানাভাবে চেষ্টার পর টিকিট পাওয়া গেলেও গত বছরের এ সময়ের চেয়ে তার দাম ৩০ ভাগের অধিক ধার্য করা হয়েছে। টার্কিশ এয়ারলাইনস ফ্লাইট না কমালেও টিকিটের মূল্য সমানতালে বাড়িয়েছে।’ আটাবের সদস্য এবং ডিজিটাল ট্রাভেল এস্টোরিয়ার সিইও নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রীষ্মের ছুটির সঙ্গে সংগতি রেখে এবার অনেকেই বাংলাদেশে ঈদ উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু সেই প্রস্তুতিতে হতাশার ছাপ বিস্তৃত হচ্ছে টিকিট সংকট ও মূল্যবৃদ্ধিতে।

 চার-পাঁচ সদস্যের পরিবারের রাউন্ড ট্রিপ টিকিটেই লাগছে ৮ থেকে ৯ হাজার ডলার করে। সঙ্গে রয়েছে আনুষঙ্গিক খরচ এবং স্বজনদের জন্য উপঢৌকন। অর্থাৎ স্বল্প ও মাঝারি আয়ের একেক পরিবারের প্রয়োজন কমপক্ষে ২০ হাজার ডলার। মাথায় বাজ পড়ার অবস্থা।’ টেক্সাসের ডালাসভিত্তিক ট্রাভেল এজেন্সি এ-ওয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরসের প্রেসিডেন্ট শাহীন হাসান বলেন, ‘প্রতি বছরই গ্রীষ্মের ছুটির সময় এয়ারলাইনসগুলো টিকিটের দাম বাড়ায়। এবার সেই ছুটির সঙ্গে অনেকেই ঈদ উদ্যাপনকে যোগ করার সংবাদটি এয়ারলাইনসের জন্য পোয়াবারো হয়েছে। তারাও দাম বাড়িয়েছে।’

ঘটনা সম্পর্কে আটাব প্রেসিডেন্ট সেলিম হারুন ও সিনিয়র সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশে টিকিট বিক্রির মুনাফা বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে বিদেশে পাঠানো হয়। এটা প্রতি মাসে পাঠানোর কথা। কিন্তু কয়েক বছর ধরে নিয়মিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না পাওয়ায় এজেন্সিগুলো সঠিক সময়ে অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না। ফলে বিপুল পরিমাণ বকেয়া জমেছে। এর পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। আর এ কারণেই ঢাকায় অবতরণকারী ফ্লাইটগুলোর ব্যাপারে এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহে অনেকটা ভাটা পড়েছে। ফ্লাইটের সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি আর্থিক লোকসান পুষিয়ে নিতে টিকিটের মূল্য বাড়ানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর