মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
যুদ্ধবিরতি চুক্তি

এবারও আশাহত কায়রো বৈঠক

আপাতত সাত মাসের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল। ফলে হামাস কর্মকর্তারা বৈঠক ত্যাগ করেছে

এবারও আশাহত কায়রো বৈঠক

ইসরায়েলের অমানবিক ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বাঁচতে লাখো ফিলিস্তিনি রাফা শহরে আশ্রয় নিয়েছিল। গতকাল সেই রাফায় হামলার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। ফলে সেখান থেকে যে যেভাবে পারছে জীবন বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে - এএফপি

এবারও আলোর মুখ দেখল না কায়রো বৈঠক। গাজা যুদ্ধ বন্ধের মন্ত্র নিয়ে শনিবার থেকে মিসরের রাজধানী কায়রোতে বৈঠক শুরু হয়। কিন্তু অতিপ্রত্যাশিত চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ওই সমঝোতা প্রচেষ্টা। বৈঠকে হামাস প্রস্তাব দিয়েছিল আপাতত সাত মাসের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। ফলে হামাস কর্মকর্তারা রবিবার মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে চলে গেছেন কাতারে।

হামাসের কোনো দাবি মেনে নেবে না, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধের জন্য ‘আত্মসমর্পণের’ দাবি হবে পরাজিত হওয়া। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আলোচনায় স্যাবোটাজ করার পাল্টা অভিযোগ এনেছেন হামাসের কাতারভিত্তিক রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। হামাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মিসরীয় গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে তাদের আলোচনা শেষ হয়েছে এবং হামাস প্রতিনিধিরা সেখান থেকে আরও আলোচনার জন্য দোহায় ফিরে যাচ্ছেন। মিসরীয় গোয়েন্দা সার্ভিসগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত আল কাহেরা নিউজ বলেছে, হামাসের সমঝোতাকারীরা আজ আবার কায়রো ফিরে যেতে পারেন।

ওদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সঙ্গে সমঝোতা প্রক্রিয়ায় জরুরি আলোচনার জন্য দোহায় যাওয়ার কথা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালক বিল বার্নসের।

ইসরায়েলে গোলাবারুদের চালান থামাল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি গোলাবারুদের একটি চালান ইসরায়েলে পাঠানোর বিষয়টি থামিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবগত একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে বাইডেন প্রশাসন কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল, তা প্রকাশ করেনি সূত্র। গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর এ প্রথম ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে ইসরায়েলে অস্ত্র-গোলাবারুদের যে চালানটি পাঠানোর কথা ছিল, সেটি আপাতত পাঠানো হচ্ছে না বলে ইসরায়েলকে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা। ওয়াশিংটনের আকস্মিক এ পদক্ষেপে উদ্বেগ বোধ করছেন ইসরায়েরের কর্মকর্তারা। ঠিক কী কারণে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করা হলো তাও জানতে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করছে ইসরায়েলের প্রতিনিধি।

এদিকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফায় সম্ভাব্য ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের যোগসূত্র নেই। তা ছাড়া এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য চালান পাঠানোর বিষয়টিকে প্রভাবিত করবে না।

মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ইসরায়েলকে গাজায় অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে বেসামরিক লোকজনের হতাহত হওয়া হ্রাস করা, গাজায় ত্রাণসামগ্রী প্রবেশে বাধা না দেওয়াসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে ওয়াশিংটন, কিন্তু ইসরায়েল সেসবে কর্ণপাত করেনি। রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার ‘হুঁশ’ ফেরাতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর