শনিবার, ১১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

গাজার রাফাহ শহর ও রাফাহ সীমান্ত কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

৫৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের একটি শহর এবং রাফাহ ক্রসিং হলো মিসর আর গাজার মধ্যে একমাত্র সীমান্ত পথ

গাজা উপত্যকার সবচেয়ে দক্ষিণে রাফাহ শহরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলা শুরু করার পর থেকে রাফাহ শহর এবং রাফাহ ক্রসিং আবারও বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

রাফাহ হলো গাজা উপত্যকার সবচেয়ে দক্ষিণে ৫৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের একটি শহর এবং রাফাহ ক্রসিং হলো মিসর আর গাজা ভূখন্ডের মধ্যে একমাত্র সীমান্ত পারাপারের পথ। যেটা মিসরের সিনাই মরুভূমি ঘেঁষে অবস্থিত। রাফাহ হলো বিশ্বের প্রাচীন শহরগুলোর মধ্যে একটি, যার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল প্রায় ৫ হাজার বছর আগে। তবে আধুনিক যুগে এর পরিচিতি হয়েছে গণমাধ্যমে নানা খবর প্রকাশের কারণে।

রাফাহর বেশির ভাগ বাসিন্দার মতে, তারা এই শহরে এসেছেন খান ইউনিস শহর থেকে, যা গাজার আরেক প্রান্তে অবস্থিত। এ ছাড়া নেগেভ মরুভূমি এবং সিনাই মরুভূমি অঞ্চল থেকেও অনেকে এসেছেন। এরপর ১৯৪৮ সালে নাকবার পর ফিলিস্তিনের বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিতাড়িত হয়ে হাজার হাজার মানুষ রাফায় বসবাস করতে শুরু করেন। কয়েক মাস ধরে ১৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই যুদ্ধ থেকে বাঁচতে নিজেদের বাড়িঘর ফেলে এসে রাফাহতে    বাস্তুচ্যুত জীবনযাপন করছেন।

গত ৫ মে রাফাহ ক্রসিং থেকে কিছুটা পূর্বে ইসরায়েলের সীমান্তঘেঁষা এবং ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রিত কেরেম শালোম ক্রসিংয়ের দিকে রকেট ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করে হামাসের সামরিক বাহিনী আল-কাসাম ব্রিগেড। এরপরই    রাফাহকে ঘিরে ইসরায়েল তার কার্যক্রম শুরু করে।

গাজা উপত্যকাটির দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার। প্রস্থে কোথাও ছয় আবার কোথাও ১২ কিলোমিটার। এখানে প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করেন। উপত্যকার উত্তর ও পূর্ব দিকে ইসরায়েল, পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর আর দক্ষিণে মিসর।

সর্বশেষ খবর