রবিবার, ১২ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

হোয়াইট হাউস স্বীকার করলেও বাধা হয়ে আছে এক ‘কিন্তু’

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল গাজায় অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে- গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের (যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের কার্যালয়) বিবৃতিতে এ কথা স্বীকার করা হয়েছে। তবু একটা ‘কিন্তু’ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। ‘কিন্তু’টা হচ্ছে, ইসরায়েল মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে গাজায়-এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়া। ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দা, প্রতিবাদ উঠছে গত অক্টোবর থেকেই এবং এমন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সিনেটর-কংগ্রেসম্যানরাও। এ ছাড়া সারা আমেরিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তুমুল আন্দোলন রচিত হয়েছে ইসরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে। সামগ্রিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন নির্দেশ দিয়েছিলেন গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের ধরন নির্ণয়ের জন্য। বাইডেন নিজেও বেশ কয়েক দফা ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছেন হামাস জঙ্গি দমনের অভিযানের টার্গেট যেন অসহায় ফিলিস্তিনিরা না হয়। তা সত্ত্বেও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন পর্যায়ে গাজায় অভিযানের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতার তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। অসহায় নারী-শিশু, এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরাও ইসরায়েলি বোমায় হতাহত হচ্ছে। আগের চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্র-সামগ্রীও গাজায় অসহায় মানুষ হত্যায় ব্যবহৃত হচ্ছে বলে বাইডেন প্রশাসনের লোকজনও উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ মার্কিন অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধে। তবে সর্বশেষ বাইডেন প্রশাসনের এ মূল্যায়ন জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক প্রধান প্রধান সাহায্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে মেলেনি।

সর্বশেষ খবর