শিরোনাম
সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিল ইরান

ইসরায়েলকে রুখতে সামরিক নীতির পরিবর্তনের ইঙ্গিত

পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিল ইরান

এখনো যুদ্ধের আবহে থমথমে ইরান-ইসরায়েল। এরই মধ্যে নতুন করে ইসরায়েলকে পারমাণবিক বোমার সতর্কবার্তা দিল ইরান। সেখানকার সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির একজন উপদেষ্টা এই হুমকি দিয়েছেন। ওই উপদেষ্টার নাম কামাল খারিজি। তিনি মূলত খামেনির পারমাণবিক উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত তাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু ইসরায়েল যদি তাদের বারবার হুমকি দেয়, দেশের কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে সামরিকনীতি পরিবর্তন করতে তাদের বেশি সময় লাগবে না। প্রয়োজনে পারমাণবিক বোমা তারা তৈরি করতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে সব ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে বোমা হামলার প্রতিক্রিয়ায় এপ্রিল মাসের শুরুতে ইরান ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। সেই সময় ইসরায়েলের ভূখণ্ড  লক্ষ্য করে তিন শতাধিক বিস্ফোরক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। সেই থেকেই ইরান আর ইসরায়েলের মধ্যে উত্তজেনা তৈরি হয়েছে। তা এখনো অব্যাহত।

পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষার বিরুদ্ধে আয়াতুল্লাহ খামেনির সরকারের ওপর দীর্ঘদিন ধরেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ইরানের তৎকালীন গোয়েন্দা মন্ত্রী ২০২১ সালে বলেছিলেন, বহিরাগত চাপ বিশেষ করে পশ্চিমের দেশগুলো থেকে আসা চাপের পরিপ্রেক্ষিতে ইরান পারমাণবিক অবস্থানের পুনর্মূল্যায়ন করতে পারে। তবে সম্প্রতি কামাল খারিজি সেই সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘ইহুদি শাসক অর্থাৎ ইসরায়েল আমাদের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোকে আক্রমণ করলে তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা পরিবর্তন করতে হবে।

এ পটভূমিতে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা-আইএইএর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে ইরান। ইরানের কর্মকর্তা ও আইএইএর প্রতিনিধিদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হচ্ছে। সেই আলোচনা ইতিবাচক বলেই দুটি পক্ষ জানিয়েছে। আইএইএর প্রধান রাফায়েল গ্রসি ইরানের পারমাণবিক কাজগুলো নিয়ে উদ্বেগ মোকাবিলার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ইরানের সহযোগিতা চেয়েছেন। কিন্তু ইরান তাতে কোনো সাড়া দেয়নি। একটি অংশ মনে করছে ইরান গোপনে পরমাণু বোমা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ গত বছরই ইরানের প্রত্যন্ত এলাকায় ইউরেনিয়াম কণা পাওয়া গিয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিলেও আদতে ইরান কোনো রকম সহযোগিতা করেনি। গ্রেসি বলছেন, ইরানের বর্তমান অবস্থা খুব একটি সন্তোষজনক নয়। তারা অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। এটি পরিবর্তনের প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর