আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় মানুষের প্রাণহানির সংখ্যা ৩৫০ ছাড়িয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে তালেবান সরকার আফগানিস্তানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দারিদ্র্যে জর্জরিত কৃষিনির্ভর আফগানিস্তানে শুক্রবার বাঘলান, তাখার ও বাদাখশানের পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘর ও হেরাত প্রদেশেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। গত তিন দিন ধরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন, ধ্বংসস্তূপে ভরা রাস্তাঘাট ও কাদার মধ্য থেকে স্থানীয় লোকদের উদ্ধার করতে দেখা গেছে। দুর্গত এলাকায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করেছে। বন্যার কারণে যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কিছু এলাকায় সতর্কবার্তাও জানানো হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে একটি উত্তরাঞ্চলের বাঘলান প্রদেশ। শুধু এখানেই ৩ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। হাজার-হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে। জানা গেছে, এখনো পর্যন্ত বাঘলান প্রদেশে ৩১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১১টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ২৮০০টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য মৃত্যু নিয়ে ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাঘলান প্রদেশে ১৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। কারণ, অনেকেই এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া তাখার প্রদেশে ২০ জন এবং পার্শ্ববর্তী বাদাখশানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বাঘলান প্রদেশের এক বাসিন্দা বলেন, এ বন্যায় আমার বাড়িঘর ভেসে গেছে, আমি একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে গেছি। বন্যার জল বাড়তে শুরু করলে তাঁর পরিবার উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু আকাশ পরিষ্কার হতেই তারা বাড়ি ফিরে আসে। আর এসে দেখে, কিছুই নেই। ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে, ঘরের সব ভেসে গেছে!