শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
ইসরায়েলি ট্যাংক আসার খবর

রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ

ইউএনআরডব্লিওএ কিছু ছবি পোস্ট করেছে, যেগুলো ৬ মে ইসরায়েলের অভিযানের আগে তাঁবু ও আশ্রয় কেন্দ্রে ভর্তি ছিল। পরিবারগুলো এখন নিরাপত্তার খোঁজে পালিয়েছে

রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ

ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে ১০ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল রাফায়। ইসরায়েল সেখানেও হামলা চালাবে। তাই সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে তারা -এএফপি

ইসরায়েলি ট্যাংক গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকছে এমন খবরের জেরে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ফিলিস্তিনি গত এক সপ্তাহে রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এসব ফিলিস্তিনি এমনিতে বাড়ি ছাড়া তার ওপর ক্ষুধা আর আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা শহরের পূর্বাঞ্চলে অভিযান অব্যাহত রেখেছে, যেখানে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলের অভিযানের কারণে আরও ১ লাখের মতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদিকে ইসরায়েলের সৈন্যরা আবারও জেইতুন ও জাবালিয়াতে ফিরেছে, যেখানে দেশটির সেনাবাহিনীর দাবি অনুযায়ী হামাস পুনরায় সংগঠিত হয়েছে। পাঁচ মাস আগেই ইসরায়েল সেখানের হামাসের স্থানীয় ব্যাটালিয়নকে ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছিল। ইসরায়েলি বাহিনী তাদের অভিযানের আগে বেসামরিক নাগরিকদের পূর্ব রাফাহ ও জাবালিয়া খালি করতে বলেছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় গাজার ২৩ লাখ মানুষের এক চতুর্থাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১২০০ ইসরায়েলি মৃত্যু হয়েছিল এবং আরও ২৫২ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। এর প্রতিশোধ নিতে সাড়ে সাত মাস ধরে লাগাতার ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে গত চব্বিশ ঘণ্টায় আর ৮২ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে রাফাহ ক্রসিং নিয়ে ইসরায়েল ও মিসর পরস্পরকে দোষারোপ করেছে। ইসরায়েলের সেনারা ওই ক্রসিংয়ের গাজা অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ইউএনআরডব্লিওএ রাফাহ শহরের খালি রাস্তাঘাটের কিছু ছবি পোস্ট করেছে, যেগুলো ৬ মে ইসরায়েলের অভিযানের আগে তাঁবু ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ভর্তি ছিল। পরিবারগুলো নিরাপত্তার খোঁজে পালিয়েছে, বলেছে সংস্থাটি। ‘কোনো জায়গাই আর নিরাপদ নয়। দ্রুত যুদ্ধবিরতিই একমাত্র আশা।’ রাফাহ শহরে থাকা ইউএনআরডব্লিওএ মুখপাত্র লুইস ওয়াটারিজ সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, এখনো যেসব পরিবার শহরে আছে তারা ‘যত দ্রুত সম্ভব পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে’ এবং ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের দিকে সমুদ্রসৈকতে তাঁবু গাড়ছে।

সর্বশেষ খবর