শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

২ হাজার বছরে এমন গরম দেখেনি বিশ্ব

উত্তর গোলার্ধে ২ হাজার বছরের যে কোনো সময়ের তুলনায় ২০২৩-এর গ্রীষ্ম বেশি গরম ছিল বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। তবে চলতি বছরের গ্রীষ্ম ২০২৩-এর উষ্ণতাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মঙ্গলবার নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়েছে। এল নিনো আবহাওয়া চক্রের সঙ্গে মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব উত্তপ্ত হয়ে উঠতে থাকায় এমনটি হবে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।

এর আগে বিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করেছিলেন, ১৮৫০ সালের পর থেকে সবচেয়ে উষ্ণ বছর ছিল ২০২৩। ১৮৫০ সাল থেকে বৈশ্বব্যাপী তাপমাত্রার আধুনিক রেকর্ড রাখা শুরু হয়েছিল। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকরা জলবায়ু পুনর্গঠনের সঙ্গে যান্ত্রিক পরিমাপ যুক্ত করে তাপমাত্রার ২ হাজার বছরের রেকর্ড নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছেন। তারা দেখতে পান, গত গ্রীষ্মের চরম উষ্ণতা শুধু আধুনিক রেকর্ডই গুঁড়িয়ে দেয়নি, পাশাপাশি যান্ত্রিক রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার আগের উষ্ণতম গ্রীষ্ম যা ১৮৪৬ সালে হয়েছিল, তার চেয়েও গত বছরের গরমকালের তাপমাত্রা আধা ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

এ গবেষণার সহ-গবেষক যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উলফ বানকেন বলেন, ‘আপনি যখন ইতিহাসের দীর্ঘ রেকর্ডের দিকে তাকাবেন তখনই দেখবেন সাম্প্রতিক বৈশ্বিক উষ্ণতা কতটা নাটকীয়। ২০২৩ অত্যন্ত উষ্ণ বছর ছিল আর এ প্রবণতা চলতেই থাকবে যদি আমরা গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণ নাটকীয়ভাবে কমাতে না পারি।’

গবেষকরা উত্তর গোলার্ধের নয়টি অঞ্চলের হাজার হাজার গাছের বলয়গুলো পরীক্ষা করে এসব অঞ্চলের ঐতিহাসিক জলবায়ু পরিস্থিতি পুনর্র্নিমাণ করেন। গাছের কাে র কাঠের মধ্যে যে বলয় তৈরি হয় তা আবহাওয়ার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়। তাই গাছের বলয়ের মধ্যে অতীতের তাপমাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সংকেত রক্ষিত থাকে।

সর্বশেষ খবর