কয়েকদিন আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও এর আগে আরও চারবার একই শপথ নিয়েছেন। তবে এবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্যভার গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরের গন্তব্য হিসেবে চীনকেই বেছে নিয়েছেন পুতিন। দুই বছর আগেই ‘নো লিমিট’ সম্পর্কের ঘোষণা দিয়ে তারা বলেছিলেন, আমাদের সম্পর্কের কোনো সীমা নেই। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব রুখে দিতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পুতিন গতকাল ভোরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান। পরে বেইজিংয়ের গণ-মহাভবনে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠকে মিলিত হন তিনি।
এ সময় শি দুই দেশের সম্পর্ক ‘পুনরুজ্জীবিত করতে’ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘চীন সব সময় রাশিয়ার ভালো অংশীদার হবে।’ রয়টার্স বলেছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি বতর্মান বিশ্বে পুতিনের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক সমর্থক। রাশিয়া ও চীন উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। সংক্ষিপ্ত বৈঠক চলাকালে শি পুতিনকে বলেন, ‘চীন-রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক কষ্টার্জিত। দুই পক্ষেরই একে সযত্নে লালন ও আগলে রাখতে হবে। বিশ্বে ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতা সমুন্নত রাখতে চীন রাশিয়ার সঙ্গে একযোগে কাজ করতে ইচ্ছুক।’ তবে রাশিয়ার প্রতি চীনা সমর্থন ও ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের সমর্থন কমাতে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপে আছেন শি। ইউক্রেনের ওপর হামলার কারণে পশ্চিমা বিশ্ব কার্যত একঘরে করে রাখলেও রাশিয়ার কিছু বন্ধু এখনো রয়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক সমর্থন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চীনের ওপর সে দেশের নির্ভরতা বেড়েই চলেছে। চীন সফরের ঠিক আগে সে দেশের সিনহুয়া সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন চীনের প্রেসিডেন্টের ভূয়সী প্রশংসা করেন। জাতীয় স্বার্থ ও গভীর পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে শি যেভাবে রাশিয়ার সঙ্গে ‘কৌশলগত’ সহযোগিতা গড়ে তুলেছেন, তার প্রশংসা করে পুতিন বলেন, সে কারণেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবার কার্যভার গ্রহণের পর তিনি প্রথম বিদেশ সফরের গন্তব্য হিসেবে চীনকেই বেছে নিয়েছেন।