শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

পিরামিডের রহস্য ভেদ করতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা?

পিরামিডের রহস্য ভেদ করতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা?

মিরামিড। তার তৈরির রহস্য নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই এই ধরিত্রীর শত কোটি মানুষের। সেই ৪ হাজার বছরের বেশি সময় আগে কীভাবে তৈরি হয়েছিল মিসরের ওই সব পিরামিড এবং কীভাবে এগুলো এত বছর ধরে টিকে আছে। এতদিন পরে বিজ্ঞানীরা আশার বাণী  শোনাচ্ছেন। বলছেন সেই রহস্য ভেদ করা সম্ভব হতে চলেছে। বিবিসি জানায়, নর্থ ক্যারোলিনা উইলমিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক আবিষ্কার করেছেন যে, মিসরের পিরামিডগুলো নীল নদের বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া একটি প্রাচীন শাখা ধরেই হয়তো নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর যে শাখাটি এখন মরুভূমি এবং কৃষিজমির নিচে চাপা পড়ে গেছে।

অনেক আগে থেকেই প্রত্নতাত্ত্বিকরা ধারণা করছেন, কাছের কোনো নদীপথ ধরেই প্রাচীন মিসরীয়রা বড় বড় পাথরসহ পিরামিড তৈরির উপকরণ বহন করেছেন এবং নদীর ওপরই সেগুলো নির্মিত হয়েছে।

কিন্তু এখন পর্যন্ত ‘কেউই নিশ্চিত হয়ে সেই নদীর অবস্থান, আকার, আকৃতি অথবা নদীটি কতটা বড় ছিল সেটা নিশ্চিত হতে পারেনি’ বলে জানান নর্থ ক্যারোলিনা উইলমিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের একজন অধ্যাপক এমান গোনাইম। গবেষকরা ভূউপগ্রহের ছবি, ঐতিহাসিক মানচিত্র, ভূ-পদার্থগত জরিপ, পলল কোরিংয়ের মাধ্যমে নদীর ওই শাখার মানচিত্র তৈরির চেষ্টা করেছেন। নদীর যে শাখাটি বহু বছর আগে বড় ধরনের খরা ও ধুলাঝড়ের কারণে মাটির নিচে চাপা পড়ে গেছে। দ্য জার্নাল নেচার-এ এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেয়েছে। অধ্যাপক গোনাইম বলেন, ‘প্রাচীন মিসরীয় পিরামিডগুলোর বেশির ভাগই যেখানে অবস্থিত তার পাদদেশ দিয়ে ওই নদী প্রবাহিত হয়েছে।’ আরেক গবেষক ড. সুজান অন্সটিয়েন বিবিসিকে বলেন, ‘নদীর প্রকৃত শাখাটির অবস্থান এবং আমাদের হাতে যে তথ্য রয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে সেখানে একটি জলপথ ছিল। ভারি ব্লক, সরঞ্জাম, শ্রমিকসহ সবকিছু বহনে ওই জলপথটি ব্যবহার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর