ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ার পর থেকেই এটি স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক মৃত্যু তা নিয়ে গোটা বিশ্বেই শোরগোল শুরু হয়েছে। এ দুর্ঘটনার পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে তা অনেকে বিশ্বাস করেন। এই সন্দেহকে আরও উসকে দিয়েছে ফ্রান্সের টিভি চ্যানেল আই২৪। গণমাধ্যমটি বলছে, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পেছনে মোসাদ এজেন্ট এলি কপ্টারের হাত রয়েছে! যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বেল-২১২ হেলিকপ্টারটি আজারবাইজান সীমান্তে আছড়ে পড়ার পর ফরাসি-ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল আই২৪ এ গুপ্তচর সংস্থার এজেন্টের নাম উল্লেখ করে। ভাইরাল হওয়া টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল হাইককে ফরাসি ভাষায় বলতে শোনা যায়, ‘মোসাদের এজেন্ট এলি কপ্টার ইব্রাহিম রাইসির চপারটির পাইলট ছিল। সঠিকভাবে জানি না, তবে এ খবর রটে গেছে।’ উল্লেখ্য, মার্কিন সংস্থার তৈরি যে হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ায় ইব্রাহিম রাইসি এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, সেটি খারাপ আবহাওয়ার জেরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। হেলিকপ্টারটির পোড়া ভগ্নাংশ উদ্ধার হয় পূর্ব আজারবাইজানের ডিজমার জঙ্গলের পাহাড়ি অঞ্চলে। হিব্রু ভাষায় এলি নামটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। দুর্ঘটনার এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ইসরায়েলের নানা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এলি হেলিকপ্টারের নাম করে একাধিক তথ্য রটানো হয়। পরবর্তীতে হামাসের টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলো এ তথ্য রটাতে শুরু করেছে।
ইরানের তরফে যদিও প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুকে হত্যাকান্ড বলে উল্লেখ করা হয়নি। কোনো ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও খাড়া করেনি খোমেনির দেশ। তবে এ মৃত্যু নিয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়েছে। কারও মতে, এর নেপথ্যে রয়েছে মোসাদের হাত। কারও বক্তব্য, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনির ছেলেকে প্রেসিডেন্ট পদে বসানোর জন্যই এ চক্রান্ত। আবার উল্কাপাতে হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়েছে বলেও উঠে এসেছে এ তথ্য। অধিকাংশের আঙুল ইসরায়েলের দিকেই। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর থেকেই এক্স হ্যান্ডেলে ট্রেন্ডিং #মোসাদ. এতেই স্পষ্ট, এ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলে আখ্যা দিতে রাজি নয় বেশিরভাগই। শিয়া অধ্যুষিত দেশ ইরানের দীর্ঘশত্রুতা রয়েছে ইসরায়েলের সঙ্গে। ফলে ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পেছনে নেতানিয়াহুর দেশের হাত রয়েছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ।
