দুই বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো চীন তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলে সামরিক মহড়া শুরু করেছে। বিশ্বজুড়ে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এবং আমেরিকান গোয়েন্দারা বিশ্বাস করেন যে, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং তার সেনাবাহিনীকে ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান দখল করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও একটি ভিডিওতে একই দাবি করেছে। তাইওয়ানের আকাশে ও সমুদ্রে চীনের সামরিক মহড়াগুলো থেকে বোঝা গেছে যে, কীভাবে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) জাহাজ ও বিমান দিয়ে দ্বীপটিকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখতে চাইছে। বেইজিং কীভাবে এই দ্বীপটির দখল নেওয়ার পরিকল্পনা করছে, এটি তার একটি অনুশীলন মাত্র। কারণ তারা বহুবারই এটিকে বাস্তবায়ন করার হুমকি দিয়েছে।
তাইওয়ান প্রণালিতে চীন ইতোমধ্যে একটি ‘নিউ নর্মাল’ বা ‘নতুন স্বাভাবিকতা’ স্থাপন করেছে। স্বশাসিত এই দ্বীপটিতে চীন ক্রমাগত খুব ধীরে ধীরে সামরিক চাপ বাড়াচ্ছে। তাহলে তাদের এবারের সামরিক মহড়া আলাদা কোথায় এবং এটি আমাদের কী বার্তা দিচ্ছে?
এটি বলা খুব কঠিন যে, ঠিক কী ঘটছে। কিন্তু বেইজিং যা দেখাচ্ছে, তা থেকে এটি স্পষ্ট যে এর আগে তারা কখনো তাইওয়ানের এত বিশাল এলাকাজুড়ে সামরিক মহড়া চালায়নি। এবার তারা যেসব এলাকাজুড়ে মহড়া চালাচ্ছে, তার মাঝে তাইওয়ান প্রণালির বেশির ভাগ অংশ, তাইওয়ানকে ফিলিপাইন থেকে আলাদা করা বাশি চ্যানেল এবং তাইওয়ানের পূর্ব উপকূল বরাবর প্রশান্ত মহাসাগরের বিশাল অংশ রয়েছে।এদিকে মার্কিন হাউস অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককল চীনের সামরিক মহড়ার মধ্যে তাইওয়ানে পৌঁছেছেন। চীন তার সফরে আমেরিকা ও তাইওয়ান উভয়কেই হুমকি দিয়েছে। বলেন, এটি একটি উসকানিমূলক যাত্রা।