শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

গাজা-মিসর করিডর নিয়ন্ত্রণে নিল ইসরায়েল

গাজা ও মিসর সীমান্তের মধ্যকার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। সীমান্ত বরাবর অবস্থিত এ এলাকাটি একটি বাফার জোন এবং এটি ফিলাডেলফি করিডর নামে পরিচিত। বিবিসি জানায়, ফিলাডেলফি করিডোর দখলের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূখন্ডের সমগ্র স্থল সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ এখন ইসরায়েলি সেনাদের হাতে।

যদিও মিসরীয় টেলিভিশনে একটি সোর্সকে উদ্ধৃত করে এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে নিজেদের সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা বোঝানোর চেষ্টা করছে। ইসরায়েলের ঘোষণাটি এমন সময় এলো যখন মিসরের সঙ্গে উত্তেজনা আর তীব্র হয়েছে।

‘সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আইডিএফ সেনারা মিসর ও রাফাহ সীমান্তে ফিলাডেলফি করিডরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে,’ বলছিলেন আইডিএফ  মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি। তিনি এ করিডোরকে হামাসের ‘লাইফ লাইন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন, এ পথে হামাস নিয়মিত গাজা উপত্যকায় অস্ত্র আনার কাজ করে বলে তিনি দাবি করেন।

ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সেখানে তারা এমন বিশটির মতো টানেল খুঁজে পেয়েছে যা হামাস অস্ত্র চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করত। নিউইয়র্ক টাইমের রিপোর্ট অনুযায়ী, হ্যাগারি পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, সবগুলো টানেল মিসরের সঙ্গে গিয়ে যুক্ত হয়েছে কি না তা তিনি নিশ্চিত নন। ফিলাডেলফি করিডোর একটি বাফার জোন বা নিরাপদ অঞ্চল, যা মাত্র ১০০ মিটার প্রশস্ত। আর মিসর সীমান্ত থেকে গাজার দিকে ১৩ কিলোমিটারের মতো। মিসর এর আগে বলেছে, তারা আন্তসীমান্ত (উভয় সীমান্তের সঙ্গে সংযুক্ত) টানেলগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। এর ফলে এগুলোর মাধ্যমে অস্ত্র চোরাচালান অসম্ভব।

ওদিকে মিসরের উচ্চপর্যায়ের সূত্রকে উদ্ধৃত করে আল কাহেরা নিউজ বলেছে ‘রাজনৈতিক কারণে যুদ্ধকে প্রলম্বিত করা এবং ফিলিস্তিনি শহর রাফাহতে অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য ইসরায়েল এসব অভিযোগ ব্যবহার করছে। ইসরায়েল বলছে- গাজা যুদ্ধে জয়ী হতে তাদের রাফাহ জয়ের বিকল্প নেই। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখে  হামাসের হামলার মাধ্যমে ওই যুদ্ধের সূচনা হয়েছে। হামাসের ওই হামলায় ১২০০ মানুষের মৃত্যু হয় এবং হামাস আরও ২৫২ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।

এদিকে গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে সেখানে ইসরায়েলের অভিযানে মারা গেছে ৩৬১৭০ জন।

সর্বশেষ খবর