রবিবার, ২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইসরায়েলের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন

গাজায় আগ্রাসনের প্রতিবাদে বেলজিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত

ইসরায়েলের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা ইনস্টিটিউটগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়।

ইসরায়েলের বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো ঘেন্টের মানবাধিকার নীতির সঙ্গে আর না থাকায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে।

মে মাসের প্রথম দিক থেকে ঘেন্টের ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদ করে আসছে আর বিশ্ববিদ্যালয়টির কিছু অংশ দখল করে রেখেছে, জানিয়েছে রয়টার্স।

এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, তারা তাদের তদন্তে ইসরায়েলের একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দেশটির সরকার, সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর সংযোগ দেখতে পেয়ে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

তদন্তে আন্তর্জাতিক আদালতের সাম্প্রতিক রায়ও উল্লেখ করা হয়েছে। ওই রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে, গত কয়েক মাসে গাজার মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় দুই সপ্তাহ আগেই ইসরায়েলের তিনটি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, এরপরও ইসরায়েলের ১৮টি একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক বজায় ছিল। তবে ইসরায়েলের ছয়টি নন-একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো সম্পর্ক তারা খুঁজে পায়নি আর তাই এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের গবেষণা প্রকল্পগুলো চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ঘেন্ট। বেলজীয় সম্প্রচারমাধ্যম ভিআরটিকে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, তারা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও বাকি ছয়টি ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও ঘেন্ট সম্পর্ক ছিন্ন করুক, এমনটি চান তারা। তাই তারা তাদের প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন। গত সপ্তাহের মাঝামাঝি বেলজিয়ামের আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তাদের অংশীদারিত্ব পাল্টানোর ঘোষণা দিয়েছিল। এন্টওয়ার্প বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চলমান গবেষণা প্রকল্পগুলো অব্যাহত রাখবে কিন্তু ইসরায়েলি অংশীদারদের সঙ্গে নতুন প্রকল্পগুলো বন্ধ রাখবে। লিবো দে ব্রুসেল বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি অংশীদারদের সঙ্গে আর কোনো প্রকল্প শুরু করবে না আর ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত এই নীতি ফিলিস্তিনি অংশীদারদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। এদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সামরিক ও শাসনক্ষমতা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে না। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে এই কথা বলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই কথা জানিয়েছে।

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য তিন-পর্যায়ের একটি চুক্তির প্রস্তাব করেছে ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের পরেই নেতানিয়াহুর এই মন্তব্য   সামলে এলো। নেতানিয়াহু সাফ জানিয়েছেন, ‘যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইসরায়েলের দেওয়া শর্তে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। শর্তগুলো হলো- হামাসের সামরিক ও শাসনক্ষমতা ধ্বংস করা, সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং গাজা যাতে আর কখনো ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে না দাঁড়ায় তা নিশ্চিত করা।’

সর্বশেষ খবর