যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্য বস্তুতে হামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ ‘খুবই গুরুতর সমস্যা’ ডেকে আনতে পারে।
তিনি বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির পশ্চিমা মিত্ররা কিয়েভকে তাদের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভিতরে হামলা চালাতে অনুমতি দেয়, তাহলে তিনিও পশ্চিমে আঘাত করার মতো দূরত্বে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবেন। শুধু তাই নয়, এই কর্মকান্ড রাশিয়াকে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারে প্রলুব্ধ করবে। প্রেসিডেন্ট পুতিন সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুধবার তিনি এ কথা বলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের ওপর হামলা চালানোর জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহ করা যদি গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে বিশ্বের যেসব অঞ্চলে ওই দেশগুলোর স্পর্শকাতর স্থাপনায় হামলা হবে, সেখানে কেন আমাদের একই শ্রেণির অস্ত্র সরবরাহের অধিকার থাকবে না? প্রতিক্রিয়া সমান সমান হতে হবে এবং আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবব।’ তবে মস্কো কোন কোন দেশে অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করতে দেওয়ায় জার্মানির সমালোচনা করেছেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘যখন তারা বলে যে রাশিয়ার ভূখন্ডে আরও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানবে, তখন এটি নিশ্চিতভাবে রাশিয়ান-জার্মান সম্পর্ক নষ্টের বার্তা দেয়।’তবে যুক্তরাষ্ট্র এখন বলছে, প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনকে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য যে মার্কিন সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন, তবে কেবল খারকিভ অঞ্চলের কাছে। ইউক্রেন রাশিয়ার মাটিতে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না। এদিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, কীভাবে ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহার করা হবে সে সিদ্ধান্ত ইউক্রেনকেই নিতে হবে। তবে রাশিয়া ন্যাটো ভূখন্ডে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে এমন ধারণাও নাকচ করে দেন পুতিন। তিনি বলেন, আপনারা রাশিয়াকে শত্রু বানাবেন না। আপনি শুধু নিজেরই ক্ষতি করছেন। রাশিয়া ন্যাটোতে হামলা চালাতে চায় এমন ধারণা অর্থহীন। কারা এই নিয়ে এলো? ভিত্তিহীন কথাবার্তা এগুলো।