বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

অভিবাসী নিয়ে কঠোর হচ্ছে ইউরোপ

যুক্তরাজ্য নির্বাচন - কনজারভেটিভ পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী সুনাক

এখন ব্রেক্সিটের কারণে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে। কিন্তু গত কয়েক বছরে অভিবাসীদের সংখ্যা অনেক বেশি। তা কমিয়ে আনতে আমাদের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে

 

ইউরোপিয়ান রাজনীতিতে অভিবাসনের সমস্যা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা সাবেক ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট হারে হারে টের পেয়েছিলেন। এ সমস্যার কারণে ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত বছর তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।

সেই পথে হাঁটতে চাচ্ছেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনের জন্য কনজারভেটিভ পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী সুনাক। এতে তিনি যুক্তরাজ্যে নেট অভিবাসীদের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন। গতকাল সিলভারস্টোনে তিনি এ অঙ্গীকারের কথা বলেছেন।

দ্য সানের খবরে বলা হয়েছে, ঋষি সুনাক বলেছেন, এখন ব্রেক্সিটের কারণে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে। কিন্তু কয়েক বছরে অভিবাসীদের সংখ্যা অনেক বেশি। তা কমিয়ে আনতে আমাদের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা কয়েকটি পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছি। যার অর্থ হলো যুক্তরাজ্যে আসতে আগ্রহী এমন ৩ লাখ মানুষ এখন আর উপযুক্ত বিবেচিত হবেন না। আমরা অভিবাসীদের সংখ্যা বেঁধে দেব। যার অর্থ হলো পার্লামেন্টে আপনাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ভোট দেবেন প্রতি বছর কত সংখ্যক মানুষ দেশে আসতে পারবে।

সুনাক বলেছেন, আমাদের পরিকল্পনা হলো- আমরা অভিবাসীদের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনব। মূল্যস্ফীতিও অর্ধেকে আনব। এরপর প্রতি বছর তা কমানো হবে। সুনাকের অঙ্গীকার অনুসারে, নেট অভিবাসন অর্ধেকে নামিয়ে আনলেও প্রতি বছর তা ৩ লাখ ৪০ হাজার থাকবে। যা ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি থাকবে। যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান কার্যালয় (ওএনএস)-এর তথ্য অনুসারে, ওই বছর যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৪ হাজার। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন রুয়ান্ডা স্কিমের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসন কমিয়ে আনা হবে। তিনি বলেছেন, আমাদের সীমান্ত সুরক্ষাও প্রয়োজন।

রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধে মরিয়া ফিনল্যান্ড : পূর্ব ফিনল্যান্ডে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দীর্ঘতম সীমান্ত রয়েছে। সেখানে ঘন ও গভীর বন এবং নীল হ্রদ রয়েছে। যে পরিবেশটি অনেক শান্ত। যে সীমান্তটি হোইলোলা নামে পরিচিত। সুন্দর এ জায়গার শান্তি ও নিস্তব্ধতা শিগগিরিই বিনষ্ট হবে বলে আশঙ্কা করছে ফিনল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। এ সীমান্ত দিয়ে শিগগিরই বিপুল সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীর ঢল নামতে পারে। এটিকে পশ্চিমের বিরুদ্ধে রাশিয়া পরিচালিত একটি ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’ হিসেবে দেখেছে হেলসিঙ্কি।

এ অবস্থায় যাতে না পড়তে হয় সেজন্য নিরাপত্তা জোরদারে ফিনল্যান্ড আরও বর্ডার গার্ড টহল, ড্রোন ও ইলেকট্রনিক ডিটেক্টর মোতায়েন করছে। এমনকি সীমান্তের বিভিন্ন অংশে বেড়াও দিচ্ছে। পার্লামেন্ট গ্রীষ্মকালীন ছুটির আগে হেলসিঙ্কিতে কঠোর নতুন আইন অনুমোদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এ আইন দেশটির মানবাধিকারের শর্ত লঙ্ঘন করবে।

গত বছরের শেষের দিকে  সীমান্তবর্তী নতুন এ পথ দিয়ে ইউরোপে সিরিয়া ও সোমালিয়ার মতো দেশগুলো থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ অভিবাসী আসে।

সর্বশেষ খবর