শিরোনাম
শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

পশ্চিমবঙ্গে ভোটের পর সহিংসতা চরমে

পশ্চিমবঙ্গে ভোটের পর সহিংসতা চরমে

লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে চলছে সহিংসতা। সহিংসতার প্রধান শিকার বিজেপি সিপিএম, কংগ্রেস এবং আইএসএফের কর্মী, বুথ এজেন্ট এবং সমর্থকরা। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে।

বিজেপি জানিয়েছে, কলকাতায় বিজেপি অফিসে ও ধর্মশালায় প্রচুর ঘর ছাড়া মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এ সহিংসতা প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে বলে দাবি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের।

এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সহিংসতার ফলে ঘর ছাড়া মানুষদের নিয়ে রাজ্যপাল আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজভবন থেকে এ জন্য সময়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগে রাজভবনমুখী সব পথ ব্যারিকেড লাগিয়ে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। শুভেন্দু রাজভবনে ফোন করে বলেন, সহিংসতার শিকার মানুষদের নিয়ে তাকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু রাজভবন থেকে জানানো হয়, রাজভবনের বাইরের এলাকার ওপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সেটা পুলিশের অধীনে।

পুলিশ জানিয়েছে, রাজভবনের সামনে সবসময় ১৪৪ ধারা জারি করা থাকে। সেখানে ২০০ জন মানুষকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। পুলিশ প্রধানের অনুমতি ছাড়া এটা করা যায় না। তাই তাকে আটকে দেওয়া হয়েছে। এরপর শুভেন্দু কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানান। প্রশ্ন করেন, কেন তাকে রাজভবনে যেতে দেওয়া হবে না? এভাবে আটকে দেওয়া হবে? বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাকে মামলা করার অনুমতি দেন। সেই মামলার শুনানি শুরু হয় গতকাল বেলা ২টার পর।

এদিকে ভোটের পর মালদহে একজন কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাকে আমবাগানে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। মৃত কংগ্রেস কর্মীর নাম আকমল শেখ। মালদহ দক্ষিণ থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা এ কাজ করেছে।

ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর মালদহে এবং যাদবপুরে সিপিএম ও কংগ্রেসের দলীয় অফিস আক্রমণ করা হয়। এ ছাড়া কলকাতার কসবায় ১০৭ ও ১২০৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক হাঙ্গামা হয়েছে। সাতজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কোচবিহারে বিজেপির পঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জোর করে গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নেওয়া হয়েছিল বলেও নিশীথ প্রামাণিক অভিযোগ করেছেন।

সর্বশেষ খবর