রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

মোদি সরকার টিকবে না

কংগ্রেস সভাপতি

মোদি সরকার টিকবে না

লোকসভার ফল প্রকাশের পরেই নতুন সরকার গঠন করবে কোন জোট তা নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছিল ভারতে। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এর আগের দুবার কেন্দ্রে যে সরকার ছিল তাতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি। তবে এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনের জন্য জোটের ওপরেই আস্থা রাখতে হয়েছে বিজেপিকে। ফলে গত দুবার মোদির সরকার থাকলেও এবার প্রকৃত অর্থে সেই সরকার হলো জোট সরকার। এর পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি থেকে শুরু করে বিরোধীরা। এবার এ নিয়ে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তার কটাক্ষ, যে কোনো সময় মোদির এই সরকার পড়ে যেতে পারে।

এক সাক্ষাৎকারে মল্লিকার্জুন দেশটির কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এটি একটি সংখ্যালঘু সরকার। ভুল করে গঠিত হয়েছে। এখানে মোদিজির কোনো ম্যান্ডেট নেই। যে কোনো সময় সরকার পড়ে যেতে পারে।’ তবে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই এই সরকার চলুক। দেশের মঙ্গল হোক।’ তার বার্তা দেশকে শক্তিশালী করতে গেলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেন খাড়গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অভ্যাস খারাপ। তিনি কোনো কিছু ভালোভাবে চলতে দেন না।’ তবে দেশকে শক্তিশালী করার পক্ষে কংগ্রেস সভাপতি। তিনি জানান, দেশকে শক্তিশালী করার জন্য ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে সব ধরনের সাহায্য করা হবে। কংগ্রেস সভাপতির এই বক্তব্য সামনে আসতেই খাড়গেকে পাল্টা আক্রমণ করেন জেডিইউ-এর বিধায়ক নিরাজ কুমার। তিনি কংগ্রেস সভাপতিকে পি ভি নরসীমা রাও এবং মনমোহন সিংয়ের অধীনে কংগ্রেস সরকারের কথা মনে করিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ২৪৪টি এবং ২০০৪ সালের নির্বাচনে ১১৪টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস। সে কথা কি কংগ্রেস সভাপতি ভুলে গেছেন। অন্যদিকে খাড়গের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন আরজেডি দলের মুখপাত্র এজাজ আহমেদ। তার বক্তব্য, ‘কংগ্রেস সভাপতি ঠিকই বলেছেন। দেশের মানুষ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ছিল। ভোটাররা তাকে গ্রহণ করেননি। তবুও তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। এটা দুর্ভাগ্য।’ -হিন্দুস্তান টাইমস

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর