রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনে সুইজারল্যান্ডে বিশ্বনেতারা

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে রাশিয়াকে চাপ দেওয়ার জন্য সুইজারল্যান্ডে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিশ্ব নেতারা। গতকাল সুইজারল্যান্ডের ব্যুর্গেনস্টক পাহাড়চূড়ায় শুরু হয়েছে দুই দিনের এ ইউক্রেন শান্তি সম্মেলন। অন্তত ৯০টি দেশের সরকারপ্রধান ও প্রতিনিধিদের এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা। তবে এতে রাশিয়ার শক্তিশালী মিত্র চীনের অংশ না নেওয়ায়, মস্কোর ওপর সম্মেলনের সম্ভাব্য প্রভাব জোরালো না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

সম্মেলনে যারা অংশ নিচ্ছেন তাদের বেশির ভাগই ইউক্রেনের মিত্র। রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ভারত, তুরস্ক ও হাঙ্গেরি এতে যোগ দিচ্ছে। রাশিয়া এ সম্মেলনকে সময়ের অপচয় হিসেবে আগেই প্রত্যাখ্যান করেছিল। এতে অংশ নেওয়ার আগ্রহও রাশিয়ার ছিল না। এরপর চীনও সম্মেলনে শেষপর্যন্ত অনুপস্থিতই থাকছে। ধারণা করা হচ্ছিল- চীনকে দিয়ে রাশিয়ার ওপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি করা যাবে। কিন্তু চীন না আসায়, রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার পশ্চিমা আকাক্সক্ষা ম্লান হয়ে গেছে।

সম্মেলনে, যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট পারমাণবিক হুমকি, খাদ্য নিরাপত্তা ও মানবিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করা হবে। সেই সঙ্গে রাশিয়াকে আগ্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করতে চূড়ান্ত ঘোষণার একটি খসড়া তৈরি করা হবে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ এ অনুষ্ঠানটিকে অগ্রগতির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। সুইজারল্যান্ড ভ্রমণের আগে ওয়েল্ট টিভির সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেছিলেন। সমাবেশের আগে শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন তার ন্যাটোর উচ্চাভিলাষ ত্যাগ করলে এবং মস্কোর দাবিকৃত চারটি প্রদেশের পুরোটাই হস্তান্তর করতে সম্মত হলে রাশিয়া এ যুদ্ধের অবসান ঘটাবে। যদিও পুতিনের দাবি মেনে নেওয়া দ্রুত আত্মসমর্পণের সমতুল্য বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন জেলেনস্কি। অবশ্য পুতিনের প্রস্তাব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন মিত্ররা। তার পরও সম্মেলনকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্য বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ তিনি বরাবরই চেয়েছিলেন ইউক্রেন ইস্যুতে বিশ্ব নেতারা একাট্টা হোক। এ সম্মেলনের ভিতর দিয়ে সেটি হতে যাচ্ছে। রয়টার্স

 

সর্বশেষ খবর