ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার ২০২৪ সালের নির্বাচনে যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তাঁদের ৮৬.১ শতাংশের অর্থাৎ ৭ হাজার ১৯৪ জনের জামানত জব্দ হয়েছে। জব্দ হওয়া মোট অর্থের পরিমাণ ১৬.৩৬ কোটি রুপি। ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানায়, এসব প্রার্থী তাঁদের নিজ নিজ নির্বাচনি-প্রদত্ত বৈধ ভোটের ছয় ভাগের এক ভাগ পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। লোকসভার মোট আসন ৫৪৩টি। প্রার্থী ছিলেন ৮ হাজার ৩৬০ জন। প্রার্থীদের বাজেয়াপ্ত অর্থ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকে বা সরকারি কোষাগারে জমা হয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের যে সংখ্যা ছিল, তার তুলনায় সংখ্যাটা এবারের নির্বাচনে বেড়েছে। ওই বছরে ৮ হাজার ৫৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু ৬ হাজার ৯২৩ জন (৮৬ শতাংশ) প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছিল। যার মোট পরিমাণ ১৫.৮৭ কোটি রুপি।
সামগ্রিকভাবে জামানত জব্দ হওয়া প্রার্থীর তালিকায় এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্ররা। দেশজুড়ে স্বতন্ত্র ৩ হাজার ৯২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯০৪ জন জামানত হারিয়েছেন। এ জামানত জব্দের পরিমাণ ৮.৯৬ কোটি রুপি। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে মায়াবতী দেবীর ‘বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)’র। তাদের ৪৮৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ ফল বিএসপির। একজন প্রার্থীও জেতেননি। দলটির ৯৭.৫ শতাংশ অর্থাৎ ৪৭৬ জন প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে। জামানত জব্দকৃত মোট অর্থের পরিমাণ ১.০৪ কোটি রুপি। এ নিরিখে ভারতের অন্য চারটি জাতীয় রাজনৈতিক দলের কেউই বিএসপির ধারেকাছে পৌঁছাতে পারেনি। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও খুব খারাপ ফল করেছিল বিএসপি। ওই নির্বাচনে তাদের মোট ৩৮৩ প্রার্থীর মধ্যে ৩৪৫ জন (৯০.০৮ শতাংশ) জামানত হারিয়েছেন।
কংগ্রেসের ৫১ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এরপর প্রকাশ আম্বেদকরের নেতৃত্বাধীন বঞ্চিত বহুজন আঘাদির (ভিবিএ) ৩৭, অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক (এআইএফবি)-এর ৩৩, সিপিআই (এম)-এর ৩০ ও বিজেপির ২৮ প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে।