মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ

গাজা নিয়ে ভাবনা জানালেন নেতানিয়াহু

দক্ষিণ গাজার রাফা নগরীতে তীব্র লড়াইয়ের পর্যায় প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। তবে তার মানে এই নয় যে, যুদ্ধ শেষ হয়ে আসছে

গাজায় আট মাস ধরে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর অবশেষে মুখ খুললেন ইসরায়েলেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ‘আংশিক’ যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত থাকার আভাস দিয়েছেন। যাতে সবাইকে না হলেও অন্তত কয়েকজন ইসরায়েলি জিম্মিকে গাজা থেকে দেশে ফিরেয়ে আনা যায়। তবে গাজায় যুদ্ধাবসানের পথ সুগম করবে এমন কোনো চুক্তিতে যেতে তিনি এখনো রাজি নন। রবিবার ইসরায়েলি টেলিভিশন স্টেশন চ্যানেল ফোরটিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা এবং গাজায় হামাসের রাজত্ব নির্মূল করা।’ তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ গাজার রাফা নগরীতে তীব্র লড়াইয়ের পর্যায় প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। তবে তার মানে এই নয় যে, যুদ্ধ শেষ হয়ে আসছে। তিনি বলেন, হামাসকে ক্ষমতা থেকে পুরোপুরি না হটানো পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। লেবানন সীমান্তেও ইসরায়েলের সেনাবাহিনী শিগগিরই নতুন করে সেনা মোতায়ন করবে। সেখানে হিজবুল্লাহর সঙ্গে গুলিবিনিময় বেড়েই চলেছে।

হামাসের পরিবর্তে পশ্চিম তীরভিত্তিক ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ গাজা শাসন করবে এমন ধারণাও পুনরায় নাকচ করেছেন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের ওই টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আপনাকে দুটি কাজ করতে হবে : হয় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর চলমান সামরিক নিরস্ত্রীকরণ চলতে দেওয়া, নয়তো একটি বেসামরিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করা।’

 

গাজায় ২১ হাজার শিশু নিখোঁজ

গত আট মাসের বেশি সময়ে গাজার প্রায় ২১ হাজার শিশু নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের শিশুবিষয়ক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। এক বিবৃতিতে শিশুদের নিয়ে কাজ করা ওই সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজার যেসব স্থাপনা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সেখানে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার শিশু। এ ছাড়া বহু শিশু ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। ওই প্রতিবেদনে শিশু নিখোঁজের যে পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়েছে তাদের সবাই তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আলজাজিরা।

এতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ ওই সংস্থাটি বলছে গাজায় এখন যে ভয়াবহতা চলছে তার মধ্যে তথ্য সংগ্রহ এবং যাচাই করা প্রায় অসম্ভব। তবে নিখোঁজ হওয়া অন্তত ১৭ হাজার শিশু তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে এবং আনুমানিক ৪ হাজার শিশু এখনো ধ্বংস হওয়া বিভিন্ন স্থাপনার নিচে আটকা পড়ে আছে। এ ছাড়া অনেক শিশুকে গণকবরস্থ করা হয়েছে বলেও তথ্য দিয়েছে ওই সংস্থা।

সেভ দ্য চিলড্রেন আরও জানিয়েছে, শিশুদের বড় একটি অংশকে জোরপূর্বক নিখোঁজ করা হয়েছে যার মধ্যে বহু শিশুকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিখোঁজ এ শিশুরা কী অবস্থায় আছে, এ বিষয়ে কোনো তথ্য তাদের পরিবারের কাছে নেই।

সর্বশেষ খবর