বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

হুয়াওয়েকে দাবাতে পারল না যুক্তরাষ্ট্র

হুয়াওয়েকে দাবাতে পারল না যুক্তরাষ্ট্র

চীনা বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে দমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অসাধারণ প্রত্যাবর্তন ঘটেছে প্রতিষ্ঠানটির। স্মার্টফোন বিক্রি থেকেই তা স্পষ্ট বোঝা যায়। মার্কিন বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় ২০২৪ সালের প্রথম পাঁচ মাসে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন বিক্রি ৭২ শতাংশ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বর্তমানে ৯০০ মিলিয়নেরও বেশি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হুয়াওয়ের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম হারমনি ওএস ব্যবহার করছে। সম্প্রতি একটি ডেভেলপার ফোরামে হুয়াওয়ের কনজিউমার বিজনেস গ্রুপের চেয়ারম্যান রিচার্ড ইউ বলেন, ‘আমাদের ইউরোপীয় এবং আমেরিকান প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিজেদের অপারেটিং সিস্টেমের স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ অর্জন করতে যেখানে ৩০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে, আমরা তা ১০ বছরে অর্জন করেছি।’ হারমনি ওএস অপারেটিং সিস্টেমটি চীনা ভাষায় ‘হংমেং’ নামে পরিচিত। ২০১৯ সালে  মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ার কয়েক মাসের মধ্যেই অপারেটিং সিস্টেমটি চালু করেছিল হুয়াওয়ে।

মার্কিন নীতিনির্ধারকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে এসেছেন, হুয়াওয়ে দেশটিতে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে। তারা অভিযোগ করেন, চীন সরকার প্রতিষ্ঠানটির সরঞ্জাম গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহার করতে পারে। হুয়াওয়ে বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করা সত্ত্বেও যুক্তরাজ্যের কিছু মার্কিন মিত্র দেশ, যেমন যুক্তরাজ্য ফাইভজি (৫জি) নেটওয়ার্ক তৈরিতে হুয়াওয়ের ভূমিকা সীমিত করেছে।   মার্কিন নিষেধাজ্ঞা গুগলের মতো কোম্পানিকে হুয়াওয়ের অ্যান্ড্রয়েড ওএস সংস্করণের স্মার্টফোন সরবরাহ করতে বাধা দিয়েছে। এটি হুয়াওয়ের জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল।

কিছু বিশ্লেষক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, প্রতিষ্ঠানটি হয়ত এখানেই মুখ থুবড়ে পড়বে। হুয়াওয়ে শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করছে এবং নতুন বিভিন্ন ব্যবসায় পা দিচ্ছে।

গত বছর এটি টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ির মডেল এস-এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য একটি বৈদ্যুতিক সেডান বাজারে এনেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে কাজ করার বড় উচ্চাকাক্সক্ষা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

সর্বশেষ খবর